সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানে শ্রীলঙ্কাকে থামাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণে কুপোকাত লঙ্কানরা শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। শেখ মেহেদী হাসান চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হয়ে ওঠেন দুর্ভেদ্য-যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্স।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য আজও মুখ দেখেনি লিটন দাসের। নবমবারের মতো টস হেরে এবারও প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয় তাকে। তবে লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা এবার প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন, যা তাদের জন্য খুব একটা সুখকর হয়নি।
প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর শুরু হয় মেহেদীর ‘ঘূর্ণি ঝড়’। নিজের প্রথম ওভারে কুশল পেরেরাকে ‘গোল্ডেন ডাক’-এ ফিরিয়ে দেন। এরপর একে একে বিদায় নেন চান্দিমাল, আসালাঙ্কা এবং ইনিংসের অন্যতম ভরসা নিসাঙ্কা। মাত্র ১১ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।
পাওয়ারপ্লের মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৪০। এরপর ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে ৬৬ রানেই পড়ে তারা ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে। শেষদিকে কামিন্দু মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা চেষ্টা করলেও রান তুলতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
শেষ ওভারে শরিফুল ইসলামের বাজে বোলিংয়ে আসে ২২ রান। টানা চার বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কা হজম করেন তিনি, দেন একটি ওয়াইডও। এতে শ্রীলঙ্কা কিছুটা আশার আলো পেলেও, রান তাড়া করার জন্য এ স্কোর যথেষ্ট নয় বলেই ধারণা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান পাথুম নিসাঙ্কার (৪৬)। এছাড়া শানাকা অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রানে। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দলীয় সংগ্রহ বড় হয়নি। প্রেমাদাসার গত ১০ ম্যাচের ৯টিতে জয় পেয়েছে রান তাড়া করা দল। পরিসংখ্যান বলছে, এবার সিরিজ জয়ের বড় সম্ভাবনা বাংলাদেশের।
শুরুটা ছিল হতাশায়। প্রথম ম্যাচ হেরে অনেকেই ধরে নিয়েছিল সিরিজ হাতছাড়া। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৩ রানের বিশাল জয় এনে দল ঘুরে দাঁড়ায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৩২/৭ (নিসাঙ্কা ৪৬, কুসাল মেন্ডিস ৬, কুসাল পেরেরা ০, চান্দিমাল ৪, আসালাঙ্কা ৩, কামিন্দু মেন্ডিস ২১, শানাকা ৩৫, ভ্যান্ডারসে ৭, থিকশানা ৬; শরিফুল ৪-০-৫০-১, মেহেদি ৪-১-১১-৪, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-১, তানজিম ২-০-২৩-০, শামীম ২-০-১০-১, রিশাদ ৪-০-২০-০)
Discussion about this post