মুস্তাফিজুর রহমান যেন মিরপুরের নিজেরই এক রাজার মতো। আজ ফের প্রমাণ করলেন কেন তাকে বলা হয় বাংলাদেশের সেরা ‘ফিনিশার’। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর অসাধারণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মুস্তাফিজ গড়েছেন বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের এক অনন্য রেকর্ড ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
এই পারফরম্যান্সই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো বোলারের দ্বারা ৪ ওভারে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড। এর আগে এই তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব এবং মুস্তাফিজ নিজেই-সবারই ৭ রান দেওয়া ছিল সর্বনিম্ন। এবার নিজেকেই ছাপিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন কাটার মাস্টার।
মুস্তাফিজের জাদুকরি স্পেলের ছায়া পড়েছে পুরো পাকিস্তান ইনিংসে। আজ মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১১০ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে এই মাঠেই ২০১৬ এশিয়া কাপে ১২৯ রান করেছিল দলটি।
বাংলাদেশ আজ টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক লিটন দাস। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। মাত্র ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা তৈরি হয় সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে।
তাসকিন আহমেদ আঘাত হানেন শুরুতেই, ফেরান সাইম আইয়ুবকে। এরপর মোহাম্মদ হারিস, সালমান আলী আঘা, মোহাম্মদ নওয়াজেরাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪১/৪।
এক প্রান্ত আগলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ফখর জামান। তবে ৩৪ বলে ৪৪ রান করে তিনিও ফিরে গেলে ৭০ রানে পড়ে যায় ষষ্ঠ উইকেট। এরপর খানিক লড়াই করেন খুশদিল শাহ (১৭) ও আব্বাস আফ্রিদি (২২), কিন্তু তা পাকিস্তানকে ভরাডুবি থেকে বাঁচাতে পারেনি।
শেষ ওভারে নাটকীয় ধস নামে পাকিস্তান ইনিংসে। তাসকিন আহমেদের করা ২০তম ওভারে তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন নেন ৩ উইকেট, মুস্তাফিজ ২টি, তানজিম ও শেখ মেহেদী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফাখার ৪৪, সাইম ৬, হারিস ৪, সালমান আগা ৩, হাসান নাওয়াজ ০, মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩, খুশদিল ১৭, আফ্রিদি ২২, আশরাফ ৫, সালমা মির্জা ০, আবরার ০*; মেহেদি ৪-০-৩৭-১, তাসকিন ৩.৩-০-২২-৩, তানজিম ৪-০-২০-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৬-২, শামীম ১-০-২-০, রিশাদ ৩-০-১৯-০)
Discussion about this post