ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শনিবার উপুল থারাঙ্গাকে আউট করে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেন মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেট শিকারের হাফ সেঞ্চুরি করেন কাটার মাস্টার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ২ বছর ২২০ দিনে এমন কীর্তি গড়লেন এ বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে উইকেটের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ছিল বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের। এ মাইলফলকে পৌঁছাতে এ বাঁহাতি স্পিনারের লেগেছিল ৩২ ম্যাচ। একই দিনে মুস্তাফিজ পান আরও একটি সুখবর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
মুস্তাফিজ ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে রেকর্ড দিয়েই। অভিষেক সিরিজে ভারতের বিপক্ষে ১৩ উইকেটে নিয়েছিলেন তিনি। সেই বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না এখনো। ঐ বছর ৬ ওয়ানডে ম্যাচে ২৯ উইকেটে বিস্ময় সৃস্টি করেছিলেন সাতক্ষীরার এই বোলার। এরপর থেকেই আলোচনায় তিনি। ২০১৬ সালে ২ কোটি ১০ লাখ রুপিতে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। জমজমাট ঐ টুর্নামেন্টে সেবার ১৭ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সকে শিরোপা জেতাতে বড় অবদান রেখেছিলেন এ বাঁহাতি। আইপিএল সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভুষিতও হয়েছিলেন কাটার মাস্টার।
প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি’র বর্ষসেরা উদীয়মানের পুরস্কারও পেয়েছেন মুস্তাফিজ ২০১৬ সালে। গতকাল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকারে করেন তিনি। এর সঙ্গে এ বাঁহাতি ছুঁয়ে ফেলেন পাকিস্তানের লিজেন্ডারী পেস বোলার ওয়াকার ইউনুস, নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড, দক্ষিন আফ্রিকার তোসবে, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককে ও প্যাট কামিন্সকে। ওয়ানডেকে ক্রিকেটে উইকেট শিকারের হাফ সেঞ্চুরির দ্রুততম ক্লাবে কাটার মাস্টার ৭ম। তার উপরে আছেন অজান্তা মেন্ডিস (১৯ ম্যাচ), অজিত অগারকার ও ম্যাকক্লিনগান (২৩ ম্যাচ), ডেনিস লিলি ও হাসান আলী (২৪ ম্যাচ), শেন ওয়ার্ন ও ম্যাট হেনরি (২৫ ম্যাচ),পাসাকোয়ে, প্যাটারসন, কোর্টলি অ্যামব্রোস, রশিদ খান, হামিদ হাসান (২৬ ম্যাচ)।
Discussion about this post