বৃষ্টির নাটকীয়তায় মনে হচ্ছিল ওভার বুঝি কাটা যাবে। শতরান পাবেন না মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে নেমে আসা বৃষ্টি থামতেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশি। কিন্তু বাংলাদেশ দল যে ১১ বল বাকি থাকতেই অলআউট। দুশমন্থ চামিরার উপর চড়াও হতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। ২৪৬ রানে শেষ টস জেতা ইনিংস। তবে লড়াইটা সহজ হবে না শ্রীলঙ্কার। প্রথম ওয়ানডে ৩৩ রানে জয়ের পর মঙ্গলবার আরেক জয়ের পথ তৈরি টাইগারদের।
ম্যাচে মুশফিক তুলে নেন অষ্টম সেঞ্চুরি। ১২৭ বলে ১০ চারে ১২৫ রান করেনিতিনি। ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার চামিরা। রিস্ট স্পিনার লাকশান নেন ৩ উইকেট।
মিরপুরের এই ম্যাচে দীর্ঘ ২৩ মাস পর সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক। রঙিন পোশাকে এর আগে সবশেষ সেঞ্চুরি তুলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর দ্বিতীয় আরেকটি সেঞ্চুরি এসেছে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫ ইনিংস পর।
মঙ্গলবার টস ভাগ্য ছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের পক্ষে। সুযোগটা তেমন কাজে লাগাতে পারলেন কোথায় ব্যাটসম্যানরা? তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে অভিষেক ক্যাপ পরেন শরিফুল ইসলাম। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। লিটন দাস ফের সুযোগ পেলেন।
কিন্তু এবারও ব্যর্থ লিটন। ২৫ রান করেন ৪২ বলে। ওপেনার তামিম ইকবাল ১৩ রানে আউট। সাকিব ফিরেন কোন রান না করেই।
৭৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। এরপর হাল ধরেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগের ম্যাচে দুজন ১০৯ রানের জুটি গড়েন। এবার ৮৭ রান।
আর দীর্ঘ ২৩ মাস পর আসলো মুশফিক পেলেন সেঞ্চুরি। বুঝিয়ে দিলেন তিনিই দলের সেরা ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৪৮.১ ওভারে ২৪৬/১০ (তামিম ১৩, লিটন ২৫, সাকিব ০, মুশফিক ১২৫, মোসাদ্দেক ১০, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আফিফ ১০, মিরাজ ০, সাইফ ১১, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ০*; উদানা ৯-০-৪৯-২, চামিরা ৯.১-২-৪৪-৩, হাসারাঙ্গা ১০-১-৩৩-১, শানাকা ৭-০-৩৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৪-৩, ধনাঞ্জয়া ৩-০-২৩-০)
Discussion about this post