মুশফিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললেন আশরাফুল

একদিন আগেই রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন টি-টুয়েন্টিতে নাকি উইকেট কিপিং করতে চান না মুশফিকুর ইহম। কিপিং নিয়ে বদলে গেছে মুশফিকের ভাবনা। তাই বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে মুশফিক আর কিপিং করতে চান না বলে জানালেন, বাংলাদেশ কোচ ডমিঙ্গো।

অথচ রোববারের ম্যাচে কিপিং করার কথা ছিল মুশফিকের। প্রথম দুটিতে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ডমিঙ্গোর আগের কথা অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের পরের দুটিতে কিপিং করার কথা ছিল মুশফিকের। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পর দেখা যায় উইকেটের পেছনে রয়েছে সোহান।

ম্যাচ শেষে। ডমিঙ্গো জানান, টি-টুয়েন্টিতে আর উইকেটকিপিং করতে চান না মুশফিক। সাবেক সতীর্থের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন মোহাম্মদ আশরাফুল।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় আশরাফুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করলেন। সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘লর্ডসে অভিষেকের সময় শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। তবে ধীরে ধীরে সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানে পরিণত হয়েছেন তিনি। প্রায় ১৬ বছর ধরে উইকেটকিপিং করছেন তিনি। এখন থেকে আর টি-টোয়েন্টিতে কিপিং করবেন না বলে দিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটেও গত দু-তিন বছর তিনি কিপিং করছেন না। আমরা যেমন দেখেছি সাঙ্গাকারাকে কিপিং ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিয়েছেন। মুশফিক নিজের তিনটা ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে শেষেরটা করেছেন কিপিং ছাড়াই।’

আশরাফুল আরও বলেন, ‘অবশ্যই মুশফিকের এটা একটা প্রিয় জিনিস ছিল, কিপিং করা। সেটা টি-টোয়েন্টিতে আর করবেন না গতকাল (রোববার) বলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটেও আগে থেকেই করছেন না। তাই আমি এখন মুশফিকের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি বেশি রানের আশা করব। এখনও তিনি অনেক রান করেন। এর থেকে আরও বেশি আশা করব। এখন ব্যাটিং নিয়ে বেশি সময় দিতে পারবেন। ফিল্ডিংটা উপভোগ করবেন। কিপিংয়ে একটা আলাদা চাপ থাকতো এবং আলাদা একটা পরিশ্রমও বটে। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, এখন শুধু মনোযোগটা থাকবে ব্যাটিংয়ে।’

শেষটাতে সোহানকে নিয়েও কথা বলেন আশরাফুল, ‘অসাধারণ একজন খেলোয়াড় মুশফিক, কঠোর পরিশ্রমী। দলের সেরা ব্যাটসম্যানের কিপিং করে আবার ব্যাটিং করাটা একটু কঠিনই বটে। আমি বলবো, এখন কিপিং না করাটা একটু স্বস্তিদায়ক হবে। আরও ৫-৬ বছর তিনি ক্রিকেট খেলবেন আশা করি। সেই জায়গায় আমরা ব্যাটসম্যান মুশফিককে দেখব। নুরুল হাসান সোহান শুরু থেকে দলের সেরা উইকেটরক্ষক ছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ের জন্য দলের নিয়মিত সদস্য হতে পারছিল না। এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স করায় তাকে নিয়মিত সদস্য করার চিন্তাভাবনা করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেই জায়গায়ই মুশফিক নিজে থেকে সরে গেছেন কিপিংটা ছেড়ে, শুধু ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবেন।’

২০১৯ সাল থেকে টেস্টেও নিয়মিত কিপিং করছেন না মুশফিক। এখন সরে গেলেন টি-টুয়েন্টি থেকেও। বাকি থাকল কেবল ওয়ানডে। এখানে কিপিং চালিয়ে যাচ্ছেন মুশি।