শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতা থাকল ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। প্রথম ম্যাচেই দাপট দেখালেন তিনি। জয়ে গেলেন জয়ের নায়ক। মুশফিকের ছোট্ট অথচ দাপুটে ইনিংসে জয় দিয়ে লিগ শুরু করছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।
লিগের প্রথম দিনে সোমবার পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্স করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট ১২০ রান। তাসামুল হকের অপরাজিত ৬৫। তাসামুল টি-টুয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি স্পর্শ করেন ৪৭ বলে। আবাহনীর তাইজুল ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে শিকার করেন ২ উইকেট।
এরপরই বৃষ্টিতে আবাহনীর সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৭০ রান। দল জিতে যায় ৪ বল বাকি রেখেই। মুশফিক দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৩৮ রানে।
১০ ওভারের ইনিংসে মুশফিক ব্যাট হাতে নামেন তিন নম্বরে। শুরুতে প্রাণ ফিরে পেয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কা সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছিল শতরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পারটেক্স: ২০ ওভারে ১২০/৫ (সায়েম ১, আলভি ১৭, তাসামুল ৬৫*, শফিউল ০, ধীমান ৪, মইন ২২, নাজমুল মিলন ৭*; সাইফ উদ্দিন ৪-০-২১-০, মেহেদি রানা ৩-০-৩১-২, আরাফাত সানি ৪-০-২২-০, তাইজুল ৪-০-১২-২, শহিদুল ৪-০-২২-০, মোসাদ্দেক ১-০-৮-০)।
আবাহনী: (লক্ষ্য ১০ ওভারে ৭০) ৯.২ ওভারে ৭২/৩ (নাঈম শেখ ১৯, শান্ত ২, মুশফিক ৩৮*, আফিফ ২, মোসাদ্দেক ৬*; জয়নুল ১.২-০-১২-০, ইমরান ২-০-১১-১, শাহবাজ ২-০-১১-১, নিহাদ ২-০-১৮-১, মইন ১-০-৯-০, মিলন ১-০-১০-০)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আবাহনী লিমিটেড জিতল ৭ উইকেটে।
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম।
Discussion about this post