সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন কাটছে উত্থান–পতনের গল্পে। সকালে দুর্দান্ত সূচনা করলেও প্রথম সেশনে একের পর এক ক্যাচ মিসে আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে এবং নাহিদ রানার কার্যকর বোলিংয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুটা ছিল স্বপ্নময়। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পেসার হাসান মাহমুদের নিখুঁত ইনসুইংগারে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন শূন্য রানে। কিন্তু সেই সাফল্যের পরই যেন ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ফিল্ডিং। প্রথম সেশনে তিনটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেয় ফিল্ডাররা, যা কাজে লাগিয়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা দৃঢ় ইনিংস গড়ে তোলে। বিশেষ করে পল স্টার্লিং ও কেড কারমাইকেলের জুটিতে গতি পায় অতিথিদের রান।
লাঞ্চের সময় ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। বিরতির পর মাঠে ফিরে প্রথম আঘাত আনেন পেসার নাহিদ রানা। ৬০ রানে খেলা শেষ হয় স্টার্লিংয়ের, যিনি আগেই বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের সুযোগে জীবন পেয়েছিলেন দুইবার। এই উইকেটে ভাঙে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেটে গড়া ৯৬ রানের রেকর্ড জুটি। পরের ওভারেই মিরাজ ফিরিয়ে দেন হ্যারি টেকটরকে, আর অভিষিক্ত কেড কারমাইকেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি-৫৯ রান করে ফেরেন তিনিও।
তবে বাংলাদেশের ফিল্ডিং দুর্বলতা থেকে যায় দ্বিতীয় সেশনেও। স্পিনার হাসান মুরাদ তার অভিষেক টেস্টেই প্রথম উইকেটের দেখা পেতে পারতেন, কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ রানে জীবন পাওয়া লর্কান টাকার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে চা-বিরতিতে যান ২২ রানে।
দ্বিতীয় সেশনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ফেরায় বাংলাদেশ। সেশনে আয়ারল্যান্ডের ব্যাট থেকে আসে ৯০ রান, তবে হারিয়েছে তিন উইকেট। দ্বিতীয় সেশনের শেষে অতিথিদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪। ক্রিজে আছেন কার্টিস ক্যাম্ফার ৩৫ রানে ও লর্কান টাকার ২২ রানে।
সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক বলবার্নি, কিন্তু বাংলাদেশের পেস আক্রমণ ও স্পিন ঘূর্ণিতে সেই সিদ্ধান্ত ধীরে ধীরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। যদিও মাঠের ফিল্ডিং দুর্বলতা না থাকলে আয়ারল্যান্ডের স্কোর আরও অনেক নিচে থামতে পারত।










Discussion about this post