মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব একটা বড় কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের দল ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ২০৭ রানে। সিরিজের শুরুতেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামলেও শুরুটা ছিল ভয়ানকভাবে হতাশাজনক।
ব্যাটিংয়ের সূচনাটা যেন ছিল এক দুঃস্বপ্ন। ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার দুইজনই ফিরে যান দলীয় ৮ রানের মধ্যেই। সাইফ ৬ বলে ৩ আর সৌম্য ৬ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন। শুরুর এই ধাক্কার পর ধীরে ধীরে ইনিংস গড়তে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটিংয়ে ছিল সতর্কতা, কিন্তু আগ্রাসনের অভাব ছিল স্পষ্ট। শান্ত ৬৩ বল খেলে করেন ৩২ রান।
এক প্রান্তে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়। ধীরগতির এই ইনিংসে তিনি তুলে নেন ফিফটি, কিন্তু ৯০ বলে ৫১ রান করে শেষ পর্যন্ত ফিরে যান তিনিও। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দেশের ১৫৪তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই আলো ছড়ান এই তরুণ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দেখিয়ে দেন, চাপের মুখেও তিনি স্থির থাকতে পারেন। অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন তিনি-৭৬ বলে করেন ৪৬ রান। তাকে বোল্ড করেন রোস্টন চেইজ, যিনি এরপর মিরাজকেও ফিরিয়ে দেন। অধিনায়ক মিরাজ করেন ১৭ রান।
ইনিংসের শেষ দিকে রানের গতি কিছুটা বাড়ান রিশাদ হোসেন। মাত্র ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুটি ছক্কা ও একটি চারে দলকে দুইশ’র ঘরে নিয়ে যান তিনি। শেষ দিকে তানভীর ইসলামের একটি ছক্কা বাংলাদেশের সংগ্রহকে টেনে তোলে ২০৭-তে। তিনি ৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জেডন সিলস, তিনি নেন ৩ উইকেট। চেইজ ও গ্রেইভস ২টি করে উইকেট নেন, আর একটি করে উইকেট পান রোমারিও শেফার্ড ও খায়েরে পিয়েরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (হৃদয় ৫১, মাহিদুল ৪৬, নাজমুল ৩২, রিশাদ ২৬, মিরাজ ১৭; সিলস ৩/৪৮, চেজ ২/৩০, গ্রিভস ২/৩২।
Discussion about this post