আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা তুঙ্গে। কিন্তু এমন তুলকালাম প্রত্যাশিত নয়। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার অপ্রত্যাশিত ঘটনাই ঘটল। যেখানে আলোচনায় থাকলো দুটি নাম- সাকিব আল হাসান ও খালেদ মাহমুদ সুজন।
ছুটির দিনে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আবাহনী-মোহামেডান। যেখানে ঘটনার সুত্রপাত সাকিবের বল করার সময়। মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদন করার পর দুই-তিন সেকেন্ড পার হতেই মাথা গরম করেন সাকিব। আম্পায়ারের সামনে লাথি দিয়ে এলোমেলো করে দেন স্টাম্প। তারপর তর্কে জড়ান আম্পায়ারের সঙ্গে।
এখানেই শেষ নয়, এরপর সাকিব অন্য প্রান্তে আম্পায়ারের সামনে গিয়ে তিন স্টাম্প তুলে নিয়ে আছাড় মারলেন মাটিতে। রীতিমতো এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখা গেল শুক্রবার মিরপুরে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব মাথা ঠিক রাখতে পারেন নি।
এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে মাঠ ছাড়ার সময় ফের বিতর্ক। এবার আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে কিছু একটা করেন সাকিব। ঠিক এরপরই দৃশ্যপটে আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি সাকিবের দিকে তেড়ে যান। অবাক হয়ে যান মাঠে উপস্থিত সবাই।
আবাহনীর রান তাড়ার পঞ্চম ওভারে সাকিবের টানা দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকান আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সেই ওভারের শেষ বলে মুশফিকের প্যাডে লাগে বল। বোলার সাকিব আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে আবেদন করার পরই বাঁপায়ে লাথি মারেন স্টাম্পে। আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে শুরু হয় তর্ক।
তারপর ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে যখন বৃষ্টি শুরু হলে মাঠকর্মীদের দিকে ইশারায় কাভার আনতে বলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। সাকিব তখন আবার আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু বলেন। আর তিনটি স্টাম্পই তুলে আছাড় মারেন মাটিতে।
আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক চলে। এ অবস্থায় মাঠ ছাড়ার সময় আবাহনীর ড্রেসিং রুমের বাইরে থেকে সাকিবের দিকে কিছু বলতে বলতে এগিয়ে যান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবও উত্তেজিত হন। মোহামেডানের ক্রিকেটাররা তখন থামান সাকিবকে। মাঠ ছাড়ার শামসুর দৌড়ে আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে গিয়ে থামান সুজনকে।
Discussion about this post