ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অবশেষে ফের সরগরম হলো মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। চারমাসেরও বেশি সময় পর দেশের সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ মিলল টাইগার ক্রিকেটারদের। রোববার চনমনে হয়ে উঠলো মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।
করোনার কারণে এতোদিন পদচারণা ছিল না গণমাধ্যমেরও। ক্রীড়া সাংবাদিকরাও এবার হাজির। স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশ পথে সবারই হাতে দেওয়া হলো স্যানিটাইজার। আর মুখে মাস্ক তো ছিলই। নতুন এক পরিবেশে সামাজিক দূরত্বের বিধি-বিধানও মেনেই ফের চলল মাঠে অনুশীলন।
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমির মাঠে ফের এসেছেন ক্রিকেটাররা। তিনজন ক্রিকেটার- মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম ও শফিউল ইসলাম। দীর্ঘ চার মাস পরে একাডেমির মাঠে দেখা গেল তাদের। তিনজনই এককভাবে অনুশীলন করেন। করোনাভাইরাসেরর সংক্রমণের এই সময়ে দলবদ্ধ অনুশীলনের সুযোগ নেই। প্রত্যোকেই একা অনুশীলন করলেন।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘আমরা বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছি। এরমধ্যে আছে বাড়ি থেকেই অনুশীলনের পোশাক পরে আসা। ড্রেস পরিবর্তন করার ঝামেলাটা মাঠে করতে হবে না। এখানে তাদের গাড়ির ড্রাইভার কীভাবে আনবেন কিংবা তারা কীভাবে যাতায়াত করবেন সেগুলোর একটি লিখিত কপি দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের।’
এরমধ্যে ঈদের আগে মোট ৭ দিনের সূচি ঠিক করেছে বিসিবির মেডিকেল টিম। প্র্রথম পর্বে মিরপুরে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সঙ্গে ঘন্টাখানেক স্কিল ট্রেনিং। অবশ্য চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে কেবল রানিং ও জিমেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এরমধ্যে অনুশীলনে মাস্ক আর গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। তবে প্রয়োজনে ক্রিকেটাররা নিজেরা ব্যবহার করতে পারেন।
এ অবস্থায় মিরপুরে অনুশীলন করে যাবেন মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিথুন ও শফিউল ইসলাম। সিলেটে করবেন খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমে;। খুলনায় মেহেদী হাসান ও নুরুল হাসান। আর চট্টগ্রামে নাঈম হাসান।
Discussion about this post