মিরপুরের উইকেট মানেই সমালোচনা। ব্যাটসম্যানদের ঘাম ঝরানো কালো মাটি, ধীর গতি আর হঠাৎ টার্ন-সব মিলিয়ে বহুবার একে ‘ধানখেত’ বলা হয়েছে মজা করে। এবার সেই ‘ধানখেত’ই আবার আলোচনায়, তবে এবার হাসির ছলে জবাব দিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ওয়ানডে জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুলবুল বললেন, ‘ধানখেত তো আর বলতে পারবেন না।’
প্রথম দুই ওয়ানডেতে ২০০ রান পেরোনোই ছিল বড় সাফল্য। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে ৭৪ রানে, দ্বিতীয়টিতে হারে সুপার ওভারে। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে একই উইকেটেই ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
মিরপুরের এই কালো মাটির উইকেট নিয়েই চলেছে দেশ–বিদেশের সমালোচনা। কেউ বলছেন ‘স্পিন ফাঁদ’, কেউ বলছেন ‘ধীর গতির বিপদ’। কিন্তু বুলবুলের মতে, সমালোচনার চেয়ে মাঠকর্মীদের পরিশ্রমই বড় কথা। তিনি বলেন, ‘পুরো কৃতিত্ব মাঠকর্মীদের। দিন-রাত কাজ করে তারা। শুক্রবারও ছুটি পায় না। আপনারা জানেন না তারা কী পরিমাণ কষ্ট করে।’
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও বললেন, সব সিরিজে এমন উইকেট থাকবে না, ‘আমাদের তো ঘরের মাঠে আরও অনেক সিরিজ আছে। সব ম্যাচই এখানে এমন উইকেটে খেলব, তা নয়।’
তার মতে, হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ, ‘বিশ্বকাপের আগে দুই-তিন মাস সময় নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে-স্কিল ক্যাম্প, প্রস্তুতি, অনুশীলন সবই তখন ভাবা উচিত। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়াটা জরুরি।’
২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়। সেই কন্ডিশন মিরপুরের মতো নয় মোটেও। তাই অনেকে বলছেন, এমন পিচে খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বিশ্বকাপে বিপাকে পড়তে পারে বাংলাদেশ।










Discussion about this post