ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেশের ক্রিকেটে ঘটনাবহুল একদিন। দুপুর গড়াতেই খবর মিলল ইনজুরিতে পড়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরপর চোটে পড়লেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। আর গভীর রাতে মিলল বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালিস্ট। ফাইনালে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে তামিম একাদশের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের জয় ৭ রানে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট’স কাপের ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। তার চোট মারাত্মক তা অবশ্য জানা যায়নি। হোম অব ক্রিকেটে তামিম একাদশ ও শান্ত একাদশের ম্যাচে এই চোট পান মুশফিক। আল আমিন হোসেনের বাউন্সারে ইয়াসির আলি চৌধুরির ব্যাট ছুঁইয়ে বল যাচ্ছিল শর্ট থার্ডম্যানে। দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক!
কিন্তু ক্যাচ নিতে গিয়ে মাটিতেই পড়ে যান। এরপর সতীর্থরা এগিয়ে আসেন। আসেন ফিজিও। ব্যথায় এক হাত দিয়ে আরেক হাত চেপে ধরে রাখতে দেখা যায় মুশিকে। একটু পর মাঠ ছাড়েন তিনি।
অন্যদিকে নভেম্বরে বিসিবির টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু ফেরার প্রস্তুতির শুরুতেই চোটে পড়লেন। রাজধানীর সিটি ক্লাব মাঠে ফিটনেস অনুশীলন শুরু করেছিলেন দিন কয়েক আগেই। সেখানে ফুটবল খেলতে গিয়েই সমস্যা।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘দৌড়ানোর সময় ও হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা পেয়েছেন মাশরাফি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এখন একটা স্ক্যান করিয়ে নিলে ভালো হয়। তখনই আমরা বুঝতে পারব কতটুকু আঘাত পেয়েছে ও।’
গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন মাশরাফি। এরপর করোনার কারণে মাঠের বাইরে। ফিটনেসটাও ঠিক নেই। এমনই অবস্থায় চোটে পড়লেন তিনি। সাতবার অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে ওঠে ফের তিনি এ অবস্থায় ফিরতে পারবেন কীনা তাই বড় প্রশ্ন।
মুশফিক-মাশরাফির ইনজুরির দিনে মিরপুরে ক্রিকেট যুদ্ধে হাসি মুখ নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের। তামিম ইকবালদের বিদায় করে দিল তারা। চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে ফাইনালেে শান্ত একাদশ। তামিমরা হেরে যাওয়ায় ফাইনালে উঠে গেল মাহমুদউল্লাহ একাদশও।
চলুন দেখে নেই ম্যাচের স্কোরকার্ড-
ভেন্যু: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।
শান্ত একাদশ: ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ ( পারভেজ ১০, সৌম্য ৭, শান্ত ৫, মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০, তৌহিদ ১৩, শুক্কুর ১১, নাসুম ১২*, রিশাদ ০, তাসকিন ২, আল আমিন ১*; সাইফ উদ্দিন ৮.৩-১-২৬-৫, মেহেদি ৮-১-৩৩-২, খালেদ ৮-০-৩৪-০, মুস্তাফিজ ৮-১-৩৬-৩ শরিফুল ৭-০-৩৫-০)।
তামিম একাদশ: (লক্ষ্য ৪১ ওভারে ১৬৪) ৪০.৪ ওভারে ১৫৬ (তামিম ৫৭, এনামুল , অঙ্কন ২২, ইয়াসির ৬, মিঠুন ২৯, মোসাদ্দেক ৬, মেহেদি ৪ , আকবর ০, সাইফ ; তাসকিন ৮-০-৩৬-৪, আল আমিন , আবু জায়েদ , নাসুম ৮-০-২৭-১, আফিফ ৩-০-১০-০, রিশাদ ৪-১-১৭-০)।
ফল: নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ ৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: তাসকিন আহমেদ
ব্যাটসম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম
বোলার অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন
ফিল্ডার অব দা ম্যাচ: তামিম ইকবাল
Discussion about this post