ক্যারিয়ারে অন্যরকম এক সময়ে অন্যরকম এক হাফসেঞ্চুরি করলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দল যখন হারের বৃত্তে তখনই মাইলফলক ম্যাচ খেলছেন তিনি। এই অলরাউন্ডার রোববার মাঠে নেমেই পেয়ে গেলেন হাফসেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০তম বারের মতো টস করলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে খেলতে নামলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম ম্যাচ। তার এই ম্যাচে টস জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।
রোববার ১৮১তম ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন মাশরাফি। এটি তার নেতৃত্বের ৫০তম ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে এই কীর্তি গড়েন হাবিবুল বাশার সুমন (৬৯) ও সাকিব আল হাসান (৫০)। ৬৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে হাবিবুল বাশার বাংলাদেশকে ২৯ জয়। ৪৯ ম্যাচে মাশরাফির জয় ২৭ ম্যাচে। ম্যাচ হিসেবে জয়ের রেকর্ডে এগিয়ে তিনিই।
মাশরাফির নেতৃত্বে নতুন এক দিগন্ত রেখা খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। শুধু র্যাঙ্কিংয়েও নয়, দল উঠে আসে অন্য এক উচ্চতায়। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে শুরু, এরপর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে টানা পাঁচ সিরিজ জয় বাংলাদেশের।
একইভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফির হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যোগ হয় অনন্য এই অর্জন। ২০১১ সাল মাশরাফির নেতৃত্বে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো হারায় টাইগাররা। যদিও এবার প্রোটিয়া সফরটা ভাল হচ্ছে না। প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে এরইমধ্যে সিরিজ হারিয়েছে মাশরাফির দল।
তবে মাশরাফি সব সময়ই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনন্য এক নায়ক হয়েই থাকবেন। ম্যাশের তুলনা শুধু তিনিই।
Discussion about this post