দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়ছে না! ক্যারিয়ারের সেই শুরুতে ইনজুরি নিয়েছে তার পিছু। এরপর আর তাকে ছাড়ে নি। মাশরাফি বিন মর্তুজাও লড়ে গেছেন। হার মানতে যে শিখেন নি তিনি।
ফের সেই ইনজুরিতে পড়লেন দেশ সেরা এই পেসবোলার। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পড়েন ইনজুরিতে। পাঁজরে এসে বল লাগে। আর তাতেই চোট। যদিও সেটা সামলে খেলেন নেপালের বিপক্ষেও।
কিন্তু বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে তিনি নেই। এমনকি বিশ্বকাপের মুল পর্বে তার খেলা নিয়েও তৈরি হল সংশয়!
এমনিতে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের থাকে, ম্যাচ শুরুর প্রথম বল নিয়ে ছুটবেন নড়াইল এক্সপ্রেস, স্ট্যাম্প উড়িয়ে জানান দিবেন বাঘের হুঙ্কার। মাশরাফি তো এমনটাই করে চলেছেন।
কিন্তু ইনজুরি নামক শত্রুর কাছে বারবারই হার মেনেছেন ম্যাশ।
সেই ২০০১ থেকে এখন ও চলছেন ইনজুরি সঙ্গে নিয়ে। এ কারণে খেলতে পারেননি ২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ। সুযোগ না পাওয়ায় ফেলেছেন চোখের জলও।
এবারের বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি দলে তিনি থাকলেও শঙ্কা ঠিকই ছিল। কেননা, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই দেখা দিয়েছিলো সেই পুরনো চোট।
শঙ্কা কাটিয়ে খেলে আফগানদের বিপক্ষে ২ ওভার বোলিং করে ৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
বৃহস্পতিবার সকালের ফ্লাইটে উড়ে এসেছেন ঢাকায়। ডাক্তার দেখাবেন অ্যাপোলোতে। মূল পর্বে খেলার আশস তাই এখানেই ছাড়ছেননা। আর কেন ই বা আশা ছাড়বেন ! মাশরাফি কখনো আশা ছাড়েন না! ১২ বার ইনজুরি আর ৮বার অস্ত্রোপচার থেকে যে ফিরে এসেছেন তিনি।
Discussion about this post