লর্ডস। ক্রিকেটের রাজপ্রাসাদ। বহু ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্ম এখানে। এবার তার মঞ্চে ইতিহাস রচনা করল দক্ষিণ আফ্রিকা-যেখানে ‘চোকার্স’ নামে পরিচিত দলটি সগৌরবে তুলে ধরল টেস্টের বিশ্বজয়ী মুকুট।
আর এই মহাকাব্যের নায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাট হাতে এক প্রান্ত আগলে ১৩৬ রানের চিত্তাকর্ষক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন আত্মবিশ্বাস ও স্থিতি। তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই জয়ের ভিত্তি গড়ে তোলে প্রোটিয়ারা। ফলাফল-২৭ বছরের ট্রফিহীন হতাশা থেকে মুক্তি। সঙ্গে ম্যাচসেরা পুরস্কার তো রয়েছেই।
মার্করামের এমন ইনিংসের প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়েও। সাত ধাপ লাফিয়ে উঠে এখন তিনি ১১ নম্বরে। রেটিং পয়েন্ট ৭২৩। আর মাত্র দুই পয়েন্ট যোগ হলেই পা রাখতে পারবেন শীর্ষ দশে, যেখানে রয়েছেন ড্যারিল মিচেল।
অন্যদিকে ব্যর্থতার গ্লানিতে পিছিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। ফাইনালে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২০ রান, যার খেসারত হিসেবে চার ধাপ নিচে নেমে গেছেন ১২ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ের পেছনের দিকে তাকালে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের উন্নতি চোখে পড়ে। লিটন দাস এক ধাপ এগিয়ে এখন ৩৭তম অবস্থানে, সেখানে তিনি সমান রেটিং পয়েন্টে (৫৭১) ভাগ বসিয়েছেন ইংল্যান্ডের বেয়ারস্টোর সঙ্গে। মুশফিকুর রহিমও এগিয়ে, আছেন ৩৯ নম্বরে। গল টেস্টে তাঁদের ফর্ম ইঙ্গিত দিচ্ছে আরও উন্নতির।
ফাইনালের আরেক নায়ক কাগিসো রাবাদা। দুই ইনিংসে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বোলারের ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্স গড়েছেন তিনি। বোলারদের তালিকায় এখনো দুই নম্বরে অবস্থান করছেন, শীর্ষে আছেন ভারতের যশপ্রীত বুমরা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এখনও সবার উপরে তাইজুল ইসলাম—অবস্থান ১৬ নম্বরে, যদিও উন্নতি হয়নি। অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিং যেন বাংলাদেশের জন্য গর্বের জায়গা। দ্বিতীয় স্থানে মেহেদী হাসান মিরাজ, আর পঞ্চম স্থানে সাকিব আল হাসান। শীর্ষে রয়েছেন জাদেজা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে (৫৯ রান ও ৫ উইকেট) নজর কেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, যিনি তিন ধাপ এগিয়ে ঢুকে পড়েছেন দশম স্থানে।
দলীয় র্যাঙ্কিংয়েও নাটকীয় মোড়। নতুন চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে, ইংল্যান্ড নেমে গেছে তিনে। অস্ট্রেলিয়া রয়ে গেছে শীর্ষে। আর বাংলাদেশ এখনো নবম স্থানে।
Discussion about this post