তাকে বলা হয় প্রচারের আলোর বাইরে থাকা এক ক্রিকেটার। ঠিক তাই, ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ধরে দারুণ খেলে গেলেও তাকে নিয়ে সেভাবে কেউ আলোচনায় আর মুগ্ধতায় মুখর হয়ে উঠে না। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুই সেঞ্চুরির মালিক তিনি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার অসাধারণ সেঞ্চুরিতে বড় আসরে প্রথমবার সেমি-ফাইনালে উঠার পথ পায় বাংলাদেশ।
১৪ বছরের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন সবই দেখেছেন। লড়ে যাচ্ছেন। তার পথ ধরে এবার আরেক মাইলফলকের সামনে। মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে নামলেই অন্যরকম ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মাহমুদউল্লাহর। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পূর্ণ হতে যাচ্ছে ২০০ ম্যাচ।
সেই ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অভিষেক। তারপর একশ ওয়ানডে পূর্ণ হতে লেগেছে ৭ বছর। ৭ বছর লাগল আরও ১০০ হতে। ওয়ানডে খেলার ডাবল সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হবেন রিয়াদ।
২২৭ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে নাম্বার ওয়ান মুশফিকুর রহিম। এরপরই থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবালের ম্যাচ ২১৮টি। তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ম্যাচ সংখ্যা ২১৪টি। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে একশর বেশি ওয়ানডে খেলেছেন শুধু মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫) ও রুবেল হোসেন (১০৪)।
১৯৯ ওয়ানডেতে ৩৪.৯১ গড়ে ৪৪৬৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। করেছেন তিন সেঞ্চুরি, ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি। টেস্টকে বিদায় বললেও খেলে যাচ্ছেন ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতে।
Discussion about this post