জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলমান রাউন্ড যেন পরিণত হয়েছে ব্যাটসম্যানদের উৎসবে। দেশের চার মাঠে চলছে রান তোলার প্রতিযোগিতা-অভিজ্ঞদের দৃঢ়তা, নবীনদের আত্মপ্রকাশ আর মুমিনুল হকের মতো কেউবা থেমে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির দুয়ারে।
ময়মনসিংহ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েই যেন নিজের নামটা আবার মনে করিয়ে দিলেন আব্দুল মজিদ। দীর্ঘ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম সুযোগ জন্মস্থানের হয়ে খেলার, আর সেই আবেগেই হয়তো ইনিংসটা ছুঁয়ে গেল অনন্যতায়। কক্সবাজারে রংপুরের বিপক্ষে তিনি ১৬৯ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১৯ রানে। শুভাগত হোমের দায়িত্বশীল ৬৫ আর আবু হায়দার রনির আগ্রাসী ৬০ রানের ইনিংস মিলে ময়মনসিংহ তোলে বিশাল স্কোর-১৪৩ ওভারে ৫৫৬/৫।
রংপুরের ১০ বোলার চেষ্টা করেও থামাতে পারেননি রানের স্রোত। ব্যাট হাতে নেমেই তারা হোঁচট খায়, ১৮ রানেই ফেরেন দুই ওপেনার মিম মোসাদ্দেক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে ঢাকার তরুণ অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন লিখলেন নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানো অবস্থায় মাঠে নেমে দলকে বাঁচাতে খেললেন দৃঢ় ২৭২ বলের ইনিংস—১২২ রান করে তুললেন চতুর্থ প্রথম শ্রেণির শতক। তাঁর সঙ্গে অষ্টম উইকেটে সুমন খানের ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস গড়ে দেয় ১২৫ রানের পার্টনারশিপ, যা ঢাকাকে পৌঁছে দেয় ৩১০ রানে।
দিনের শেষে সিলেটের স্কোর ৩৩/০, আর পরদিন ব্যাট হাতে নামবেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রামে মুমিনুল হক আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি এখনো দেশের নির্ভরযোগ্য নাম। কিন্তু ভাগ্য তাকে সেঞ্চুরির দেখা দিল না। বরিশালের বিপক্ষে ৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৯২ রানে ফিরে যান তিনি, রুয়েল মিয়ার এক নিখুঁত বল তাঁর ইনিংসের ইতি টানে। চট্টগ্রাম গুটিয়ে যায় ৩৫৮ রানে, বরিশালের হয়ে তানভির ইসলাম নেন চার উইকেট। জবাবে বরিশাল দিন শেষ করে ১১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে, অপরাজিত সালমান হোসেন ৪৭ রানে।
অন্যদিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ক্রিকেটে চলছে স্পিন দ্বৈরথ। খুলনা-রাজশাহীর ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাহিদুল ইসলাম দুজনেই আলো ছড়ালেন বল হাতে। আগের দিন তিন উইকেট নেওয়া মিরাজ আজ যোগ করেন আরও একটি, আর নাহিদুল নেন চারটি। রাজশাহী ২৬৮ রানে গুটিয়ে লিড নেয় ১৪৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা ৬৮ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে।










Discussion about this post