ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইংলিশ ক্রিকেটার মঈন আলিকে নিয়ে বেফাঁস টুইট করে এখন তোপের মুখে তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশের এই বিতর্কিত লেখিকা সেই টুইট মুছে ফেললেও তার মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা তুঙ্গে। কারণটাও সংগত। তিনি যে মন্তব্য করেছেন-ক্রিকেটার না হলে মঈন আলি ইসলামিক স্টেটের সদস্য হতেন। মানে এই ক্রিকেটারকে জঙ্গি আখ্যাত দিয়েছেন তসলিমা। তারপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ইংল্যান্ডের এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের সতীর্থরা। এমন কী মুখ খুললেন মঈনের বাবা।
ঘটনা দিন কয়েক আগের। মদ প্রস্তুতকারক কোনো প্রতিষ্ঠানের লোগো নিজের জার্সিতে ব্যবহার নিয়ে নিজের অবস্থান জানান মঈন। তার আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে রয়েছে তেমন একটি লোগো। সেই প্রতিষ্ঠানের লোগো নিজের জার্সিতে না রাখার অনুরোধ করেন মঈন। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি তার জার্সি থেকে তুলে নেয় মদের লোগো। ধর্মপ্রাণ মুসলিম মঈন সব সময়ই এমনটা করেন।
এরমধ্যে গত সোমবার মঈনকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট করেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেন, ‘মঈন আলি যদি ক্রিকেটে না আসত, তিনি সম্ভবত সিরিয়ায় যেতেন (মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গিদল ইসলামিক স্টেট) আইএসআইএসে যোগ দিতেন।’
ব্যস, তার এমন বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষেপে উঠে সতীর্থরা। ইংলিশ ক্রিকেটাররা প্ত্বিাদ জানান। সাকিব মাহমুদ, বেন ডাকেট, স্যাম বিলিংসরা এনিয়ে পাশে দাঁড়ান মঈনের। তসলিমাকে উদ্দেশ করে পেসার জফ্রা আর্চার এরপরই লেখেন, ‘আপনি কি ঠিক আছেন তো? আমার তো মনে হয় না।’
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করা তসলিমার এই টুইটের সমালোচনা এখনো চলছে। এরপর টুইটটি মুছে দেওয়া হয়। তসলিমা মঙ্গলবার আরেকটি টুইট করেন।
এই আলোচিত লেখিকার টুইট, ‘নিন্দুকেরা ভালো করেই জানে, মঈন আলিকে নিয়ে আমার টুইটটি ছিল ব্যঙ্গাত্মক। কিন্তু আমাকে হেনস্তা করার জন্য এটাকে ইস্যু বানানো হয়েছে। কারণ, আমি চেষ্টা করি মুসলিম সমাজকে ধর্ম নিরপেক্ষ করতে এবং আমি ইসলামি ধর্মান্ধতার বিরোধী। মানবজাতির অন্যতম দুর্ভাগ্য- নারীবাদী বামপন্থিরা ও নারীবিদ্বেষী ইসলামিস্টদের সমর্থন করে।’
আর্চার এরপর তসলিমার টুইটও রি-টুইট করে তিনি লেখেন, ‘রসিকতা? কেউ আপনার রসিকতায় হাসছে না, এমনকি আপনিও হাসছেন না। আপনি কমপক্ষে এখন টুইট ডিলিট করতে পারেন।’
আরেকজনকে আক্রমণ করে এখন নিজেই তোপে তসলিমা নাসরিন!
Discussion about this post