ইনজুরির সঙ্গেই যেন তার বসবাস। ফর্মে থাকার সময়ও চোটে পড়ছেন একাধিকবার। তবে শঙ্কা কাটিয়ে এখন ফিট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। এ অবস্থায় চোট নিয়ে আর ভাবতে রাজি নন। মিরপুরে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, দেশের জন্য খেলে বারবার চোটে পরেও বিচলিত নন এই পেসার।
আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘দেখুন, যেকোনো সময় যেকোন মুহূর্তে ইনজুরি হতে পারে। আপনিও এখন হাঁটতে গিয়ে পা মচকায়ে পড়ে যেতে পারেন (হাসি)। তো এইটা আসলে ভয় পেয়ে লাভ নাই, ইনজুরি হতেই পারে। যখন খেলতে নামব শতভাগ দিয়েই চেষ্টা করব। ইনজুরি হলে রিহ্যাব করে আবার (ফিরে) আসব। এটা হতেই পারে। এখন প্রশ্ন যদি এমন হয়, আপনি কেন বারবার ইনজুড হন, তাহলে তো এটাও বলতে পারেন মুক্তিযোদ্ধোরা কেন শহিদ হয়েছে? দেশের জন্য খেলতে গিয়ে ইনজুড হতেই পারি। হলে আবার চেষ্টা করব।’
টেস্ট খেলতে পারেন নি। তবে তাসকিনের চোখ তিন ফরম্যাটেই। বলেন, ‘আমি সব ফরম্যাট খেলতে চাই ভাই, সব ফরম্যাট। যদি কখনও দেখি পারছি না, তখন বলব। কিন্তু এখন আসলে মনে হয় না। এখন আসলে ফিট হয়ে ভালোমত খেলার রাইট টাইম। আমার স্বপ্ন আসলে ওয়ার্ল্ডক্লাস হতে চাই। এখনও আসলে ঐ সময় আসে নাই যে আই নিড রেস্ট। প্রত্যেকটা সিরিজই টাফ। ইনজুড থাকি আর না থাকি। এটাও চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। ওভাবেই আগাব। দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ সুস্থ রাখেন। হাতে যা আছে তার পুরোটা দেব। এরপর ইনজুরি হলেও নিজেকে বোঝানো যায় আমি নিজের পুরোটা দিয়েছি।’
এদিকে সাকিব আল হাসান এবার প্রশংশা করলেন তাসকিনের। ব্যাপারটায় খুশি এই পেসার। বলছিলেন, ‘এটা আসলে সংশয় নেই তিনি একজন লিজেন্ড। তিনি যখন বলেছে, ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আরো অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে যে, আমি আরো ভালো করতে পারব। খুব ভালো লেগেছে আসলে।’
তাসকিনের প্রশংসা করে সাকিব বলেছিলেন, ‘একটা বড় কৃতিত্ব দিতে হয় আসলে তাসকিনকে। তাসকিন আসলে শেষ দুই-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে আসলে একজন পেস বোলার বড় হতে পারে কিংবা সামনের দিকে এগোতে পারে এবং ব্যাকরণগত কিভাবে উন্নতি করতে পারে। আমার মনে হয়, তাকে অনেকেই অনুসরণ করে।’
ঠিক তাই, ইনজুরি উড়িয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার মতো বারবার ফিরে এসে তাসকিনও এখন আদর্শ!
Discussion about this post