দুঃস্বপ্ন! ভারতের সমর্থকদের তেমনই মনে হতে পারে। গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে এসে সর্বনাশ! আর অস্ট্রেলিয়া দেখাল বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে সবসময়ই তারা ফেভারিটদের ফেভারিট!
ভারতকে উড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র দল হিসেবে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের ট্রফি উঠল তাদের হাতে। ভারতের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড খেললেন স্বপ্নের এক ইনিংস। ১২০ বলে করেন ১৩৭ রান। ৫৮ রান করেন লাবুশানে। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দুজনের ১৯২ রানের জুটি ভারতকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জিতে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা পেলো অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে ১০৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন লোকেশ রাহুল। ফিফটি পেয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি ৬৩ বলে করেন ৫৪ রান। ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক রোহিত শর্মা করেন ৩১ বলে ৪৭ রান। ২৪১ রানের লক্ষ্যে ট্রাভিস হেডের ১৩৭ ও লাবুশেনের অপরাজিত ৫৮ রানের সৌজন্যে ৪২ বল বাকি থাকতেই ফাইনাল জিতে নিয়েছে তারা।
অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কের পর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কদের তালিকায় এখন প্যাট কামিন্সের নাম।
১৯৮৭ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জিতে হ্যাটট্রিক করে দলটি।
ফাইনালে ভারতের দ্বিতীয় পরাজয় এটি। বিশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তারা হারে ১২৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ৫০ ওভারে ২৪০/১০ (রোহিত ৪৭, গিল ৪, কোহলি ৫৪, শ্রেয়াস ৪, রাহুল ৬৬, জাদেজা ৯, সুরিয়াকুমার ১৮, শামি ৬, বুমরাহ ১, কুলদিপ ১০, সিরাজ ৯*; স্টার্ক ১০-০-৫৫-৩, হেইজেলউড ১০-০-৬০-২, ম্যাক্সওয়েল ৬-০-৩৫-১, কামিন্স ১০-০-৩৪-২, জ্যাম্পা ১০-০-৪৪-১, মার্শ ২-০-৫-০, হেড ২-০-৪-০)
অস্ট্রেলিয়া: ৪৩ ওভারে ২৪১/৪ (ওয়ার্নার ৭, হেড ১৩৭, মার্শ ১৫, স্মিথ ৪, লাবুশেন ৫৮*, ম্যাক্সওয়েল ২*; বুমরাহ ৯-২-৪৩-২, শামি ৭-১-৪৭-১, জাদেজা ১০-০-৪৩-০, কুলদিপ ১০-০-৫৬-০, সিরাজ ৭-০-৪৫-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী
টুর্নামেন্টসেরা: বিরাট কোহলি
Discussion about this post