সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে লিটন দাসের দল। আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নামছে টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দল গুটিয়ে যায় ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে। টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ১২ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিবের ৩৩, নাসুম আহমেদের ২০, তাসকিন আহমেদের ১০ ও মুস্তাফিজুর রহমানের অপরাজিত ১১ রানে বড় হারের ব্যবধান কিছুটা কমে।
এর আগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুর ধীরগতি কাটিয়ে শেষ তিন ওভারে ঝড় তোলেন শাই হোপ ও রোভম্যান পাওয়েল। ৮২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর এই জুটি ৪৬ বলে ৮৩ রান যোগ করে দলকে ৩ উইকেটে ১৬৫ রানে পৌঁছে দেন। দুজনই অপরাজিত-হোপ ২৮ বলে ৪৬, পাওয়েল ২৮ বলে ৪৪ রান। দুজনেরই সমান ১টি চার ও ৪টি ছক্কা।
হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস স্বীকার করেছেন, শুরুতেই উইকেট না পাওয়া ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) প্রথম ১০ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেছে। উইকেটটা ধীর ছিল। আমরা যদি শুরুতে ১–২টা উইকেট নিতে পারতাম, তাহলে তাদের ওপর চাপ থাকত।’
লিটনের কণ্ঠে ছিল আত্মসমালোচনা ও আত্মবিশ্বাস, ‘শেষ ওভার ছাড়া আমরা ভালো বোলিং করেছি। ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে, পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
টি–টোয়েন্টির আগে ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া তারা। ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ বলেন, ‘যখন পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা যায়, তখন সবকিছু সহজ হয়। প্রথম ম্যাচে সব বিভাগেই ছেলেরা ভালো করেছে-আমি খুশি।’
আজকের ম্যাচে সিরিজে সমতা ফেরাতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচের জয়ের একাদশই ধরে রাখতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুই দলের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এ পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার। বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ১০টিতে, দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচ, সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।










Discussion about this post