বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নামার আগে উত্তাল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট।অবশ্য সমস্যার শুরু সেই জানুয়ারি থেকেই। বছরের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় চুক্তি নেই লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরপর গত চার মাস ধরে খেলছেন কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়া। এবার নড়ে চড়ে বসলেন দিমুথ করুণারত্নেরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে চাপ বাড়ালেন তারা।
এ অবস্থায় বেতন নিয়ে ঝামেলায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা বার্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছেন। যে কারণে দেশটির ক্রিকেটেও প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবশেষ চুক্তিতে বোর্ডের শীর্ষ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার পেতেন ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। কিন্তু বর্তমান চুক্তিতে তাদের পাওয়ার কথা মাত্র ৪৫ হাজার ডলার। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি বেতন কমে যাচ্ছে। এ কারণেই বিদ্রোহেরও শঙ্কাতেও আছে লঙ্কান ক্রিকেট।
এর আগে সিনিয়রিটি পেমেন্ট হিসেবে প্রতি ম্যাচে বাড়তি অর্থ পেতেন ক্রিকেটাররা। যার ভিত্তি হতো তাদের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা। ২০ টেস্ট খেলা একজন পেতেন বাড়তি ৫০০ ডলার, সংখ্যাটা ৪০ হলে অর্থের অঙ্কটা বেড়ে যেতো ৭৫০, ৬০ হলে ১০০০ আর ৮০ হলে ২০০০ ডলার পেতেন প্রতিজন ক্রিকেটার। এবার সেই বাড়তি অর্থের ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। এরপরই দেশটির সিনিয়র ক্রিকেটাররা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন।
শীর্ষ ক্যাটাগরির প্রাপ্য অর্থ অবশ্য এক লাখ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। শেষ দুই বছরে শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত টেস্ট পারফরম্যান্স দেওয়া সুরাঙ্গা লাকমাল বাদ পড়বেন এক লাখ ডলার পাওয়াদের তালিকা থেকে। কারণ লাকমাল এখন শুধুমাত্র টেস্টেই খেলছেন। অন্য দুই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ অবস্থায় চুক্তির প্রস্তাবের পর নিজেদের করণীয় কী, এ নিয়ে ক্রিকেটাররা তাদের আইনজীবির সঙ্গে আলোচনা করছেন। বাংলাদেশ সিরিজের আগে এক টেলিকনফারেন্সে এনিয়ে বিস্তারিত ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন-লঙ্কান ক্রিকেট ব্যবস্থাপক টম মুডি। অবশ্য ক্রিকেটাররা জানাচ্ছেন-চুক্তির বেশ কিছু ধারা মুডি নিজেই ঠিকমতো বোঝাতে পারেননি। সব মিলিয়ে মুমিনলে হকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে উত্তাল লঙ্কান ক্রিকেট।
Discussion about this post