২০১০ থেকে শেন ওয়ার্নের প্রেম চলছে হলিউডের এ অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্লির। প্রেমের বছরখানেক যেতেই আংটি-বদল করে নেন দু’জন। হেডফোর্ডশায়ারে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে কেনেন ১৩ বেডরুমের বিলাসবহুল বাড়ি। তখন মনে হয়েছিল বিয়েটা যেন সময়ের ব্যাপারমাত্র। ঠিক তখনই গুঞ্জন-ভাঙছে ওয়ার্ন-হার্লির প্রেম!
এখন আর গুঞ্জন কিংবা গুজব নয়-ভেঙেই গেছে তাদের প্রেম। সম্পর্ক ধরে রাখতে না পারার ব্যর্থতাটুকুও এবার ওয়ার্নের। তার কারণেই নাকি ভেঙেছে এ সম্পর্ক। আসলে ওয়ার্ন এমনই। এক নারীতে বেশিদিন বাঁধা পড়ে থাকতে চান না কখনই! খবর রটে, এ সাবেক ক্রিকেটার ফের সম্পর্ক গড়ছেন তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে। মেলবোর্নে এক বাড়িতে তারা থাকছেন-এমন খবরও চলে আসে হার্লির কানে।
এরপরও কি ওয়ার্নের সঙ্গে প্রেম টিকিয়ে রাখা যায়? হার্লি কথা বলেন ওয়ার্নের সঙ্গে। উত্তরটা মনঃপূত না হতেই ছুড়ে ফেলেন বাগদানের আংটি। জানিয়ে দেন-‘অনেক হয়েছে, তোমার সঙ্গে আর নয়।’
ওয়ার্ন অবশ্য এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে সম্পর্কটা টিকে। সন্তানদের নিয়ে দ্রুত লন্ডনেও চলে গেছেন তিনি। কিন্তু হার্লি এখন নিউইয়র্কে। ওয়ার্নের মুখোমুখি নাকি হতে চান না ৪৮ বছর বয়সী ওই অভিনেত্রী। টুইটারে স্পষ্ট জানিয়ে রেখেছেন-কিছুতেই এসব বিষয় নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না তিনি।
তারপরও থেমে নেই ওয়ার্ন। ৪৪ বছর বয়সী এ অস্ট্রেলিয়ান হাল ছাড়ছেন না। তবে সাড়া দিচ্ছেন না হার্লি!
ব্রিটিশ ধনকুবের অরুন নায়ারকে ভালোবেসে ২০০৭ সালে বিয়ে করেছিলেন হার্লি। এরপর সুখেই কাটছিল এলিজাবেথ হার্লির। কিন্তু বছর চারেক পর হঠাত্ করেই একদিন পরিচয় শেন ওয়ার্নের সঙ্গে। তখন তিনিও একা! স্ত্রী সিমোনের সঙ্গে ডিভোর্সের পাঠ চুকিয়েছেন কিছুদিন আগেই। মেয়েদের মন কীভাবে জয় করতে হয় সেটা অজি ওই স্পিন কিংবদন্তির ভালো করেই জানা। শুরু হয় হার্লির মন জয় করার সফল প্রচেষ্টা। ব্যস! অশান্তির আগুন লাগে অরুন-হার্লির সংসারে। শেষ পর্যন্ত সেই আগুনে পুড়ে ছারখার তাদের বিয়ে!
এবার ওয়ার্ন অধ্যায়ও শেষ হচ্ছে এলিজাবেথ হার্লির!
Discussion about this post