ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসে সংক্রামণ যেন ছড়ায়, এজন্য দশ দিনের অঘোষিত লক-ডাউন গোটা দেশ। এ অবস্থায় বেকার হয়ে পড়ছেন নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অনুরোধ, তাদের পাশে দাঁড়ানোর, ‘যারা শ্রমজীবী মানুষ আছে তাঁরা হয়তো এ মুহূর্তে বেকার হয়ে পড়ছে। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো জরুরী। আমরা চেষ্টা করবো যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাঁদের সাহায্য করার।’
ঘরে বন্দী থাকলে এমনিতেই অবসাদ চলে আসে। তারপরও এ সময় বাইরে না যাওয়া হয়। এমনটাই চাওয়া মাহমুদউল্লাহর, ‘আমাদের ভেতরে হয়তো একটু অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু একঘেয়েমি অনুভব হতে পারে। মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। একটু কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারো মাথায় কিংবা মনে এরকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি। কারণ এ মুহূর্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি। এই নিয়মটা যেন আমরা মেনে চলি। এটা যতটুকু আমার জন্য প্রযোজ্য ঠিক আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। আবার অন্যদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রযোজ্য। নিজে নিরাপদে থাকি এবং অন্যদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করি।’
কঠিন এ সময়ে চিকিৎসদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্সরা এবং যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। এই দুঃসময়ে করোনার মতো মহামারী ব্যাধির সময় তাঁরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, দেশকে সেবা দিচ্ছেন সেজন্য মন থেকে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি এ মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন।’
ঘরে থেকে রিয়াদ যেভাবে সময় পার করছেন সেটিও শেয়ার করেছেন তার ভক্তদের সঙ্গে,‘কয়েকদিন বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্য দিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি। বই পড়ছি। ব্যয়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি।’
মাহমুদউল্লাহ সবাইকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদে থাকতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, ‘জিনিসগুলো আমরা কিছুদিন মেনে চলি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একত্রে কাজ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা এ কঠিন সময় দ্রুত কাটিয়ে উঠবো। ওই ভালো সময় আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। সবাই একত্রে দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি।’
Discussion about this post