আইসিসি’র সাধারণ সভা থেকে দেশে ফিরেই ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিমান বন্দরেই বলেছেন-‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কুলষিত করছেন বিসিবির সাবেক এক সভাপতি। খুব শিগগিরই তিনি জনসম্মুখে তার মুখোশ উন্মোচন করে দেবেন।’
-কে এই সভাপতি?
অনেক চাপাচাপির পরও নাজমুল হাসান সেই নামটা জানাননি। তবে তিনি যে নিশ্চিতভাবেই বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর দিকেই আঙ্গুল তুলছেন; সেটা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ঠ।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাবের হোসেন চৌধুরী বতর্মান বোর্ডের এবং এর অ্যাডহক কমিটির কর্মকর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিপিএলে দুনীর্তি, ম্যাচফিক্সিং, বোর্ডে নির্বাচন না হওয়া এবং সর্বশেষ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ে অনিশ্চয়তা-সবকিছু প্রসঙ্গে সাবের হোসেন চৌধুরী বিসিবির বর্তমান অ্যাডহক কমিটিকে দায়ী করেছেন।
বিসিবির গঠন তন্ত্র বদলের যে প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিসিবির বর্তমান কমিটি জড়িত সেটাও সাবের হোসেন চৌধুরী ফাঁস করেছেন।
বিসিবির নির্বাচন করতে না পারার ব্যর্থতার ইতিবৃত্ত জানিয়ে সম্প্রতি বোর্ডের সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন আইসিসির কাছে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আইসিসি সেই চিঠি আমলে নিয়ে বর্তমান বোর্ডকে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করার তাগাদা দিয়েছে। বিসিবির বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের জোরালো বিশ্বাস-আইসিসি’র কাছে এই অভিযোগ সর্বশ্ব চিঠি পাঠানোর কুটকৌশলও সাবের হোসেনেরই সাজানো।
নাজমুল হাসান পাপন কাল আরও জানান-খুব শিগগিরই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ শুরু হবে।
যদিও তিনি লন্ডনে আইসিসি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে বলেছিলেন-‘আকসুর রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ শুরু হবে।’
আকসুর রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে জেনেই নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বিসিবির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গন এখন নতুন বিতর্কের মশলা পেল। যার নাম পাপন বনাম সাবের!
Discussion about this post