বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ২০১৩-১৪ বর্ষপঞ্জি চূড়ান্ত। সেখানে বিপিএলের সময়সূচি দেওয়া আছে ৩-৩০ জানুয়ারি-২০১৪। বিসিবির গত সভায় এ ক্যালেন্ডার অনুমোদনের কথা থাকলেও বিপিএল টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে না পরে-তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ক’দিন দেরি হয়। অবশেষে কাল বিকেলে তা জানানো হয়েছে। যে আসর আয়োজন নিয়ে নানা জটিলতা ও অনিশ্চয়তা সেই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট শুরুর সময় দেখানো হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। এক মৌসুমে দু’বার প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত। আগেই জানানো হয়েছে, দলবদল হবে আগস্টের ২৫ তারিখ। আর ৩ সেপ্টেম্বর প্রিমিয়ার লিগ শুরু। সেটাই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। চলবে পুরো মাস। তারপর ১ অক্টোবরই চলে আসছে নিউজিল্যান্ড। পুরো মাসে চলবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। নিউজিল্যান্ড চলে যাওয়ার পর ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণির আসর জাতীয় লিগ।
-তাহলে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় অংশ কখন?
আয়োজক বিসিবির দাবি, আগে খেলতে রাজি না হলেও এখন ক্লাবগুলো নাকি জাতীয় ক্রিকেটার ছাড়াই প্রিমিয়ার লিগ খেলতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় আর লিগ বন্ধ থাকবে না। মুখে এমন কথা বলা হলেও জাতীয় লিগ শুরুর সূচি দেখে মনে হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড চলে যাওয়ার পরই প্রিমিয়ার লিগের সুপার পর্ব।
সূচিতে দেখানো আছে-২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি জাতীয় লিগ আর ঠিক ৩ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরুর কথা বলা হয়েছে। সেটা কী সম্ভব? দেখা গেল, যারা জাতীয় লিগের ফাইনাল খেলছেন, একইদিন বিপিএলে তাদের খেলা পড়ে গেল। তখন তারা কী করবেন? এটা আরেক বিভ্রান্তি। বোঝাই যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত এ দিন-তারিখ বদলে যাবে।
বিপিএল শেষ হওয়ার ছয় দিন আগে ২৪ জানুয়ারি চলে আসবে শ্রীলঙ্কা। আর লঙ্কানদের সঙ্গে সিরিজ শেষে এশিয়া কাপ; ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু। এরপর ১৬ মার্চ থেকে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই মহা আসরের পর আবার প্রিমিয়ার লিগ। ১২ এপ্রিল থেকে আবার ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট শুরুর দিন ধরা হয়েছে। ওই লিগ শেষ না হতেই আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বিসিএল শুরু; ২৫ মে। শেষ ১৫ জুন। ওই জুনের শেষ সপ্তাহে আসবে ভারত।
Discussion about this post