গত চার মাস ধরেই বন্ধ দেশের ক্রিকেট। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই মাঠের ক্রিকেট চালু হবে। সেই অবধি ফিটনেস ধরে রাখাই ক্রিকেটারদের প্রথম ও প্রধানতম কাজ হয়ে উঠেছে। এবং তারা তা করছেনও। তবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে দলপতি রুমানা আহমেদের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য জিমের সরঞ্জাম ছিল না। বাসায় কেবল কয়েকটি ভারোত্তোলক (ওয়েট) আছে। তাও সঠিক ওজনের নয়। যেহেতু তিনি ফিজিওর পরামর্শ মোতাবেক ১৫-২০ কেজি ওজনের ভারোত্তোলক ব্যবহার করে থাকেন। তার বাসায় যা ছিল তার এক একটির সর্বোচ্চ ওজন ৫ কেজি। প্রায় চার মাস এভাবেই নিজেকে ফিট রেখেছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিসিবির নেওয়া একটি উদ্যোগ তার সেই কষ্ট দূর করেছে। যে কারণে তিনি খুশি।
করোনাকালে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটার যাদের বাসায় জিমের সরঞ্জামাদি নেই বিনামুল্যে তা তাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। বিসিবি’র এই সুবিধা পেতে যাচ্ছেন রুমানা আহমেদও। লাল সবুজের নারী ওয়ানডে দলের এই দলপতি ইতোমধ্যেই ফিজিওকে জানিয়েছেন তার কী কী সরঞ্জাম প্রয়োজন। যেহেতু এই মুহুর্তে তিনি নিজ শহর খুলনায় অবস্থান করছেন তাই খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়মের জিমনেশিয়াম থেকে তার জন্য সরঞ্জামগুলো সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জিমের সরঞ্জাম সরাবরাহের পাশাপাশি টাইগার প্রশাসনের আরো একটি পদক্ষেপ রুমানাকে দারুণ স্বস্তি এনে দিয়েছে। সেটা হল ‘কভিড-১৯ ওয়েল বিয়িং অ্যাপ’। মহামারীকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে সবাই যখন চিন্তিত তখন এই অ্যাপ ব্যবহার করে তিনি যেমন স্বাস্থের নিয়মিত আপডেট জানতে পারছেন তেমনি কর্মস্থলকেও জানাতে পারছেন, ‘আমাদের কিছু হলে বিসিবিকে জানাতে পারছি। বিসিবি’র আরো একটি উদ্যোগ ভাল লেগেছে যে বোর্ড থেকে আমরা জিমের সরঞ্জাম পাচ্ছি। আমাদের যাদের বাড়িতে সাইকেল নেই, ভারোত্তোলক নেই তাদের জন্য বিসিবি এসব সরঞ্জাম বাড়িতে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
রুমানা গণমাধ্যমে আরও বলেন, ‘ফিজিওকে জানিয়েছিলাম যে আমার একটি সাইকেল ও ভারোত্তোলক প্রয়োজন। যেহেতু আমার পায়ের সমস্যা আছে সেহেতু ভারোত্তোলক দিয়ে কাজ না করলে সমস্যা হতে পারে। তারা জানিয়েছে যে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এগুলো আছে। সেখান থেকে দিতে পারবে। সব মিলিয়ে এমন উদ্যোগ খুবই ভাল লেগেছে আমার।’
Discussion about this post