একেই বলে আসলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারই প্রথম টি-টুয়েন্টির সিরিজ খেলল বাংলাদেশ। প্রথম সিরিজেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল সাকিব আল হাসানের দল। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১৬ রানে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
এবারই প্রথম কোনো বড় দলকে হোয়াইট ওয়াশ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ ও দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অবশ্য রান পাহাড়ে উঠতে পারেনি টাইগাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের হাফসঞ্চিুরিতে বাংলাদেশ তুলে ১৫৮ রান। এরপর বোলারদের তোপে ইংল্যান্ডকে ১৪২ রানে আটকায় বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা।
ম্যাচে জিততে ইংলিশদের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। হাসান মাহমুদের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন ক্রিস ওকস। এরপরের চার বল ব্যাটেই খেলতে পারেননি ওকস ও ক্রিস জর্ডান।
যদিও প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পর মালান-বাটলার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। মালানকে (৫৩) ফিরিয়ে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের বলে দুর্দান্ত থ্রোতে বাটলারকে (৩১) আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মঈন-ডাকেট খেলায় ফেরার আভাস দিলেও তাসকিন দুজনকে একই ওভারে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তাসকিন।
এর আগে একবারই তিন বা এর বেশি ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসে সেই সাফল্য। টি-টুয়েন্টিতে কেবল আর দুই সিরিজে সব ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়েকে ২-০ ও গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে একই ব্যবধানে হারায় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারই প্রথম কোনো সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশও করল। টি-টুয়েন্টিতে মাত্র তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশড হলো ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের যন্ত্রণায় ডুবেছিল তারা!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৮/২ (লিটন ৭৩, রনি ২৪, শান্ত ৪৭, সাকিব ৪; কারান ৪-০-২৮-০, ওকস ১-০-১২-০, রশিদ ৪-০-২৩-১, আর্চার ৪-০-৩৩-০, রেহান ৩-০-২৬-০, মইন ১-০-১২-০, জর্ডান ৩-০-২১-১)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪২/৬ (মালান ৫৩, সল্ট ০, বাটলার ৪০, ডাকেট ১১, মইন ৯, কারান ৪, ওকস ১৩, জর্ডান ২; তানভির ২-০-১৭-১, তাসকিন ৪-০-২৬-২, সাকিব ৪-০-৩০-১, হাসান ৪-০-২৯-০, মুস্তাফিজ ৪-০-১৪-১, মিরাজ ২-০-১৮-০)
ফল: বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : লিটন দাস
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০তে জয়ী বাংলাদেশ
সিরিজসেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত
Discussion about this post