চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামলে বাড়তি একটা চাপ তো থাকেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছুটা প্রস্তুতির ঘাটতিও। তবে এসব কিছু উড়িয়ে দিয়ে দারুণ শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার শুরু হচ্ছে জুনিয়র টাইগারদের বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশন।
যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসে রকিবুল হাসানের দল মাঠে নামছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ আরেক ফেভারিট ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সন্দেহ নেই গ্রুপ-এতে এটিই বাংলাদেশের একমাত্র কঠিন ম্যাচ। কারণ গ্রুপের অন্য দুই দল হলো কানাডা ও আরব আমিরাত।
কিন্তু যেমনটা বলা হচ্ছিল এবার কিছুটা অতৃপ্তি আছে। ২০২০ সালে শিরোপ জয়ের আগে ৩০টি যুব ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। যারমধ্যে জয় এসেছে ১৮টিতে। এবার করোনা কালে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন তারা।
যুব বিশ্বকাপে বরাবরই দাপট দেখায় জুনিয়র টাইগাররা। সেই ২০১৬ সালে দেশে মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ২০২০ যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। যা এখন অব্দি দেশের ইতিহাসের একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা। আকবর আলির দল ফিরেছিল চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এবার রকিবুল হাসানের দলের সামনে চ্যালেঞ্জ।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন অধিনায়ক রকিবুল প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, ‘দেখুন, খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামব। এখানে আসার পর আমরা অনুশীলন করেছি, প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। এখানকার উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা হয়েছে আমাদের। এখন আমাদের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা যদি শতভাগ দিয়ে খেলতে পারি এবং সেরাটা দিতে পারি, তাহলে ভালো ফল পাব আশা করি।’
বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে ইংল্যান্ড ছাড়াও বাংলাদেশের আরেক দুই প্রতিপক্ষ কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই ম্যাচ নিয়ে এখনই ভাবছেন না রকিবুল। বলছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগুনো। প্রথমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। এরপর প্রথম রাউন্ডে আরও দুই ম্যাচ আছে। এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো একটা ফল নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতেও ভালো করে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাব।’
Discussion about this post