ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। কোচ ওয়াকার ইউনুসকে পেয়ে সুইং, রিভার্স সুইংয়ে আরো পটু হয়ে উঠেন। ইয়র্কার ডেলিভারিতেও মুগ্ধ করেন এই পেসার। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বিপিএলে নেন ২২ উইকেট। তারই পথ ধরে ডাক মেলে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে। কিন্তু এরপরই ইনজুরিতে সর্বনাশ!
দল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। সেই ইনজুরিই তাকে সম্ভবত খেলতে দিচ্ছে না বিশ্বকাপে। মঙ্গলবার ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে নেই তিনি। অথচ ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছেন।৬ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকারে বাংলাদেশ দলকে নেন কোয়ার্টার ফাইনালে। কিন্তু এবার তিনিই মাঠের বাইরে।
দলে জায়গা না পেয়ে মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখামুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাসকিন। ২০১১ বিশ্বকাপে মাশরাফিও ঠিক এইভাবে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সাসনে।
অফফর্ম আর ইনজুরির কারণে দলের বাইরে ছিলেন তাসকিন। কিন্তু বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে। ইনজুরির কারণে সেই সিরিজ ও বিশ্বকাপে খেলার লালিত স্বপ্নও শেষ হয়েছে।
দলে জায়গা না পেয়ে তাসকিন চোখে জল মুছলেন। বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। তাঁরা যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে। এই আড়াই মাস আমি যা কষ্ট করেছি তা আগে কখনও করিনি।’ নিজেকে ফিট প্রমানে এবং রিদম ফিরে পেতে চেস্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাসকিন, ‘আমি আমার কাজ করে যাব। সবাই তো ভালই দল নির্বাচন চায়, খারাপ চায় না কেউ। সামনে আরও সুযোগ আছে। আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবে সামনে সুপার লিগ ভাল করে খেলার। যেটা ভাল মনে করেছে ওটাই করেছে। সবাই দোয়া করবেন আমি চেষ্টা করে যাব।’
অবশ্য তাসকিনের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ এখনই শেষ হয়ে যায়নি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এখনও সময় আছে। আয়ারল্যান্ড সফরে আমাদের ১৭ জন সদস্য যাচ্ছে। এর মধ্যে ও যদি পুরো ফিট হয়ে যায় এবং দরকার হয় তাহলে ওকে আমরা ব্যাকআপ হিসেবে রাখবো।’
Discussion about this post