করোনা কালে টিকেই যাচ্ছেন রাসেল ডমিঙ্গো। সমালোচনা তুঙ্গে থাকলেও তরে সঙ্গে এখনই সম্পর্কের ইতি টানছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূল কারণ একটাই- এই সময়ে মানসম্মত কোচের অভাব। অতিমারির এই সময়ে মনে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাকে আগামী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হচ্ছে ডমিঙ্গোকে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের আগস্টে দুই বছরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকান ডমিঙ্গো কোচকে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ। এই হিসাবে আসছে আগষ্টেই শেষ হওয়ার কথা তার মেয়াদ। তবে এই বছরের শেষ অব্দি চাকরি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচের।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। সামনে সময় বেশি নেই। এ অবস্থায় কোচ পাওয়া যাবে কীনা সেই ব্যাপারটা তো থাকছে। তাই সংবাদমাধ্যমে একদিন আগেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দেখুন, এখানে দুই-তিনটা ব্যাপার আছে। প্রথম কথা হচ্ছে, আমরা তার চুক্তি নবায়ন করব, কী করব না। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, যদি না করি, তাহলে তো আমাদের বিকল্প একজন থাকতে হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আগে এ রকম কিছু আমাদের কাছে নাই। এটাই বাস্তবতা।’
এর মধ্যে ব্যস্ত সূচি বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজ খেলে আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে সফর। এরপর দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা টি-টুয়েন্টি সিরিজ শেষে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ অবস্থায় মানম্মত কোচ পাওয়াটাও কঠিন।
এমনিতে ডমিঙ্গো কোচ হয়ে আসার পর টেস্টে সাফল্য নেই। এখানে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাকি আট ম্যাচের সাতটিতে হার, ড্র একটি টেস্ট। এরমধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে বাংলাদেশই একমাত্র দল, যাদের কোনো জয় নেই।
আবার টি-টুয়েন্টিতে ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে ১৪ ম্যাচের ৬টিতে জয় তুলেছে বাংলাদেশ। যার চারটিই এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি করে জয়। হার ৮ ম্যাচে। তবে ওয়ানডেতে এসেছে সাফল্য। নয়টি ম্যাচ খেলে জয় ছয়টি, হার তিনটিতে।
Discussion about this post