৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান! তিন যুগের কান্না শেষে আনন্দের সুবাতাস। ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর লিওনেল মেসি। ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মনে হচ্ছিল তিন যুগের প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই কিলিয়ান এমবাপে ম্যাজিকে সর্বনাশ। সমতা ফেরায় ফ্রান্স।
ফাইনালে ফরাসি স্ট্রাইকারের দুই মিনিটের ঝড়। দুটি গোলই করেন এমবাপে। ২-২ গোলে সমতা। ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। দ্বিতীয়ার্ধে সেই মেসি জাদু। তার দেখার মতো ম্যাজিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১১৮ মিনিট। এমবাপের শট আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই বল হাতে লাগালেন মন্তিয়েল। পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। ৩-৩ গোলে সমতা। বিশ্বকাপ ফাইনালে এমবাপের। অতিরিক্ত সময় শেষেও স্কোরলাইন ৩-৩।
নাটকীয় সেই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর ৪-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। মেসির হাতে উঠল সোনার বল। কাতারে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করে দলকে জেতানোর নজির গড়েছেন তিনি। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দু’বার সোনার বল পাওয়ার রেকর্ড আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।
টুর্নামেন্টসেরার সোনার বল উঠল মেসির হাতে। সোনার বুট এমবাপের। ৮ গোল কাতার বিশ্বকাপে। ৭ গোল করে এরপরই মেসি। এমিলিয়ানো মার্টিনেজও জয়ের নায়ক। তিনি পেলেন সেরা গোলকিপারের পুরস্কার সোনার গ্লাভস।
কে কী পেলেন-
সোনার বল: লিওনেল মেসি
সোনার বুট: কিলিয়ান এমবাপে
সোনার গ্লাভস: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ
বিশ্বকাপের সেরা তরুণ তারকা: এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা)
বিজয়ী আর্জেন্টিনার পুরস্কার মূল্য: ৪২ মিলিয়ন ডলার
রানার্স আপ ফ্রান্সের পুরস্কার মূল্য: ৩০ মিলিয়ন ডলার
Discussion about this post