ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আঙুলের ইনজুরি নিয়ে বেশ বিপাকেই আছেন সাকিব আল হাসান। ঝুঁকি এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে ইনজুরিটা আরো মারাত্মক আকার ধারন করে। এখন পুরো অবস্থাটা বুঝতে মেলবোর্নে আছেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। সেখানে অ্যাপওয়ার্থি হাসপাতালে ডা. গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
এরইমধ্যে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এনিয়ে নানা খবর। সাকিব নিজেই একটি ইংরেজি পত্রিকার সঙ্গে বলেছেন, ‘ইনফেকশনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে অপারেশনের কোন চান্স নেই। ইনফেকশন থাকা অবস্থায় করলে হাত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই রিস্ক তো কেউ নিবে না। ইনফেকশন শতভাগ নির্মূলের অপেক্ষা করতে হবে।’
এ অবস্থায় শুধু এ বছরটাই নয়, ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কায় পড়ে গেছেন সাকিব ভক্তরা। কারণ, এই ইনজুরি থেকে সহসা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মেলবোর্নের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষেই জানা যাবে কী পরিস্থিতি। এরমধ্যে ৭ দিন ধরে শিরায় প্রবেশ করানো হবে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন।
এ অবস্থায় সাকিবের নিজেরও মন খারাপ। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকের সঙ্গে এনিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন কমপক্ষে ৬ মাস, এমনকি ১২ মাসও লেগে যেতে পারে অস্ত্রোপচার করাতে। যে ভাইরাসের কারণে এই ইনফেকশন, সেটি খুব আনকমন ভাইরাস। আমার হাতে এই ভাইরাস আর ১ পার্সেন্টও নেই, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পরই অপারেশন সম্ভব।’
বলা হচ্ছে ‘অলৌকিক’ কিছু হলেই মিলবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। কারণ বিশ্বকাপ শুরু হতে আট মাসের মতোর বাকী!
গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। নিদাহাস ট্রফিতে ফিরে দারুণ খেলেন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আবারো ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এবার ব্যথানাশক নিয়েই খেলে যান। দেশে ফিরে অস্ত্রোপচারের কথা ভাবছিলেন। কিন্তু বিসিবির প্রথান নাজমুল হাসান পাপন তার ভাবনার বাঁক বদলে দেন। এশিয়া কাপে খেলতে গিয়ে ফের পুরনো চোটে পড়েন সাকিব। টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তাকে!
Discussion about this post