যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেট যে এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ আরো একবার মিলল। দেশটির আগামী দিনের ক্রিকেটাররাও সমান দাপটে এগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবার স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ২০২ রানে হারিয়ে তারা উঠে গেছে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান আফগানরা। জবাব দিতে নেমে সফরকারী দুই স্পিনার মুজিব জারদান ও কায়েস আহমেদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ২৮.১ ওভারেই নিউজিল্যান্ড অলআউট ১০৭ রানে। মুজিব ও কায়েস দু’জনেরই শিকার ৪টি করে উইকেট।
বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান দারুণ শুরু এনে দেন আফগানদের। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৭ রানের জুটি গড়েন তারা। গুরবাজ ৬৯ ও ইব্রাহিম ৬৮ রানে আউট হন। শেষ দিকে স্বাগতিক বোলোরদের ওপর ঝড় তোলেন বহির শাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। মাত্র ২৩ বলে ৩ চার ও ৭ ছয়ে ৬৬ রানে আউট হন ওমরজাই। বহির ৭২ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে রাচিন রবীন্দ্র, বেন লকারস ও ফেলিক্স মারে ও জ্যাকব ভুলা নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন সন্দ্বীপ প্যাটেল।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই আফগান বোলিং তোপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। বিশেষ করে মুজিব ও কায়েসের ঘূর্ণির দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। যে কারণে মাত্র ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। পরে ক্যাটেন ক্লার্ক (৩৮) ও ডেল ফিলিপসের (৩১) ৬৬ রানের জুটি কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমায়। শেষ ৬ উইকেট নিউজিল্যান্ড হারায় মাত্র ২১ রানে।
২৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান : ৫০ ওভারে ৩০৯/৬ (রহমতউল্লাহ ৬৯, জাদরান ৬৮, আজমাতউল্লাহ ৬৬, বাহির ৬৭*; সন্দ্বিপ ২/১৩)।
নিউজিল্যান্ড : ২৮.১ ওভারে ১০৭ (ক্লার্ক ৩৮, ফিলিপস ৩১; জাদরান ৪/১৪, কায়েস ৪/৩৩)।
ফল : আফগানিস্তান ২০২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
Discussion about this post