ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সিলেটের ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় লিগের প্রথম স্তরে ওঠানোর লড়াইয়ে নামার আগে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন সৈয়দ খালেদ আহমেদ মিরপুরে ঘাম ঝরাচ্ছেন। পুরোপুরি ফিট হয়ে ডিসেম্বরে হতে যাওয়া বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরতে চান এই পেসার।
গত জুলাইয়ে মুম্বাইয়ে খালেদের হাঁটুর মিনিসকাসে অস্ত্রোপচার করানো হয়। মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শুরু করেছেন পুনর্বাসন। মঙ্গলবার তিনি জানালেন অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে ক্রমশ ফিরে পাচ্ছেন নিজেকে, ‘এখন রিহ্যাবে আছি, এর শেষ বলতে কিছু নেই। ভালো হয়ে গেলেও এটা চালিয়ে যেতে হবে। এখন ৭০ ভাগ ঠিক আছি। বায়েজিদ ভাইয়ের অধীনে আছি। উনি যা পরামর্শ দিচ্ছেন তাই করছি।’
রিহ্যাবে কি করছেন খালেদ? উত্তরটা নিজেই দিয়েছেন তিনি, ‘রিহ্যাবের অংশ হিসেবে স্যান্ড পিটে কাজ করছি, জিম করছি, রানিং, ওয়েট লিফটিং, স্কোয়াট মারছি, লেগ প্রেস এগুলাই করছি।’
একটু অদ্ভূতভাবেই চোট পেয়েছিলেন খালেদ। যা মঙ্গলবার প্রকাশও করেছেন এ পেসার, ‘রোজার মাসে ক্যাম্প ছিল। সেটা শেষ করে ঈদের আগের দিন ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে টিভি দেখতে বসে পায়ে টান লাগে, তখন পা সোজা করতে গিয়ে জোরেই মেরে বসেছিলাম। তখনই চোটটা পাই।’
এখন পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে খালেদ। তিন ইনিংসে বোলিং করে পাননি উইকেট। ভেবেছিলেন জাতীয় লিগে বোলিং নিয়ে কাজ করে ফিরবেন আরও ধারাল হয়ে। ম্যাচের পর ম্যাচ বাইরে থাকাটা পোড়াচ্ছে তাকে, ‘সেটা তো অবশ্যই হতাশার, অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে আছি। শুধু এনসিএল না, ‘এ’ দলের খেলা মিস করছি, জাতীয় দল, এসব মিস যাচ্ছে। সমস্যা নেই, যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে আবার ফিরতে পারব। নভেম্বরের শেষের দিকে আমাকে ছাড়পত্র দিবে, আশা করছি এর মধ্যে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারব। এরপর বোলিং শুরু করব। বিপিএল দিয়ে ফেরার আশা করছি।’
Discussion about this post