আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসতে যাচ্ছে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যার উত্তাপ পৌঁছে গেছে ক্রিকেট দুনিয়ার প্রতিটি কোণে। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে দলগুলো একেবারেই এক ছকে নেই। কেউ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত টানা ব্যস্ত সূচিতে মাঠে লড়ছে, আবার কেউ বড় টুর্নামেন্টের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই।
বিশ্বকাপের আগে নিজের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার ইতি টেনেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হয়েছে তাদের ২০২৪ সালের মিশন। এর পর বাংলাদেশ দলের সামনে কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি নেই; তাদের প্রস্তুতির একমাত্র মঞ্চ হবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর, যা মাঠে গড়াবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশই নয়, একই অবস্থায় আছে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডও। বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচবিহীন চার দল, এদের কেবল ঘরোয়া লিগের ওপরই নির্ভর করতে হবে।
অন্যদিকে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ভারতকে ঘিরে। বিশ্বকাপের আয়োজক দলটি ব্যস্ততা শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়ে। সেই সিরিজের ধারাবাহিকতা শেষ হলে অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড। এই দুই সিরিজ মিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে মোট নয়টি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকাও পিছিয়ে নেই; ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচ শেষে তারা নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। ফলে বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রোটিয়াদের প্রস্তুতির সংখ্যা দাঁড়াবে সাত।
একইভাবে শ্রীলঙ্কা নিজেদের ঘরের মাঠে ব্যস্ত থাকছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে মোট ছয়টি ম্যাচ নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের প্রস্তুতি সীমাবদ্ধ থাকবে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে একমাত্র প্রস্তুতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির তিন ম্যাচের সিরিজ।
পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতিও এখনো অনিশ্চিত। পাকিস্তান জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের চেষ্টা করছে, তবে সূচি চূড়ান্ত হয়নি। ফলে এই দুই দলই আপাতত ম্যাচবিহীন তালিকায় রয়েছে, যদিও সিরিজ অনুমোদন পেলেই সেই চিত্র পাল্টে যেতে পারে।










Discussion about this post