এবার অফিসিয়ালি বাংলাদেশ ক্রিকেটে রিচার্ড হালসাল অধ্যায়টা শেষ হয়ে গেল। ঢাকায় এসে সোমবার বিদায় নিলেন সাবেক এই সহকারী কোচ। এই জিম্বাবুয়েইন পারিবারিক কারণে ছেড়েছেন বিসিবির চাকুরী। বিদায় বেলায় পরামর্শ দিলেন সাবেক শিষ্যদের।
হালসাল বলেন ‘দেখুন, ক্রিকেটাররা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের নিরাপদ ভাবছে, নিরাপদ বলতে শারীরিক দিকটা বোঝাচ্ছি না, তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া ও দেখভাল করা, সমর্থন করা, তাহলে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়া যাবে। যে ক্রিকেটাররা দলে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে লড়ছে, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে ভাল সিনিয়র ক্রিকেটের রয়েছে। কিন্তু শুধু তাদের দিয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে ম্যাচ জেতা যাবে না। আরও ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে। সেটিই পরামর্শ থাকবে। সিনিয়রদের পাশাপাশি উঠতিদের সামর্থ্যটা বের করে আনতে হবে।’
ভবিষ্যতের জন্য ক্রিকেটার তৈরি নিয়ে হ্যালসল বলেন, ‘অনেক বড় দলের খুব ভালো ‘এ’ দল ও ইমার্জিং প্লেয়ার্স প্রোগ্রাম থাকে। তার পরও অনেক সময় প্লেয়ার উঠে আসে না সেভাবে। একদিক থেকে ভাবলে বাংলাদেশের জন্য এটি সুবিধাও যে দ্রুত সরাসরি প্রতিভাবানরা জাতীয় দলে উঠে আসছে। কিন্তু তার পর তাদেরকে উপযুক্ত সমর্থন দিতে হবে।’
গত মাসে বাবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান হ্যালসল। বিসিবিও তা গ্রহণ করে। কেন এই বিদায় এনিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরোপুরিই পারিবারিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক সময় কেড়ে নেয়। পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। এটিই কারণ। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ দলকে সেরাটা দিতে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারও সঙ্গে আমি কোনো সমস্যা দেখিনি। এসব নিয়ে কিছু জানা নেই।’
ইংলিশ কাউন্টি দল সাসেক্সের একাডেমি পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন ৪৯ বছর বয়সী হ্যালসল।
Discussion about this post