দেশের বাইরে এভাবে তিনি বিদায়ের ঘোষণা দেবেন আঁচ করতে পারেন নি ভক্তরা। এমন কী মিডিয়াও এ নিয়ে ছিল অন্ধকারে। কিন্তু মঙ্গলবার আচমকা টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন মাশরাফি বিন মতুর্জা। আগামী বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক। এরপর টাইগারদের খেলা ৬৬ টি-টুয়েন্টির ৫৩টিতেই খেলেছেন ম্যাশ। নিয়েছেন ৩৯ উইকেট।২৭ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। মঙ্গলবারের আগে পর্যন্ত টাইগাররা জিতেছে ৯টি ম্যাচে। ২০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়লেও ওয়ানডেতে তিনিই থাকবেন বাঙলাদেশের অধিনায়ক।
বিদায় ঘোষণাটা ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজেও দিয়েছেন। মাশরাফি। যেখানে বাংলা-ইংরেজি দুটোতেই এনিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এখানে তা তুলে ধরা হল-
”বাংলাদেশ টিম কে টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান দলটি একটি ভাল দল এবং দলে কিছু উদীয়মান খেলোয়াড় আছে। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য এবং আমাকে এত চমৎকার দলের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সকল ভক্ত, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাকে সবসময় সমর্থন করার জন্য। এই সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে উত্থান এবং পতন ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমার ফ্যানদের কে খুশি করার। আমি আমার প্রত্যেক ফ্যান এর কাছে তাদের কে প্রতি ম্যাচে খুশি করতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইছি। এই মুহূর্তে দল হিসেবে আমরা ভাল খেলছি। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ সামনের দিনগুলো তেও ভাল ক্রিকেট খেলবে।
আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়ার জন্য এটাই আমার উপযুক্ত সময় যাতে অনেক তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে এবং বিসিবি তাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বাংলাদেশ এর টি-টোয়েন্টি টিম এর নতুন অধিনায়ক কে আগাম অভিনন্দন জানাই এবং আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সময় সামনে আসবে।
শীঘ্রই আবার দেখা হবে। সকলের জন্য আমার আন্তরিক ভালবাসা।”
Discussion about this post