ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে পুরনো পথেই কী তবে হাটছে? কিছুতেই কলঙ্ক মুক্ত থাকতে পারছে না ঘরোয়া ক্রিকেটের লিস্ট এ এই আসর। বারবারই বিতর্কিত আম্পায়ারিং আর কর্মকর্তাদের পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তে পাল্টে যাচ্ছে অনেক কিছু। একটি বিশেষ ক্লাব সুবিধা পাচ্ছে এবারের লিগেও। এবারের লিগে আবাহনী লিমিটেডকে বাড়তি সুবিধা দিতেও দেখা গেছে অফিসিয়ালদের। বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচে বৃষ্টির মধ্য খেলিয়েও ধানমন্ডির ক্লাবটিকে জেতানোর অভিযোগ উঠে। তার রেশ না কাটতেই ফের আবাহনীকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার চেস্টা চলছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আর আবাহনীর মধ্যকার ৫ এপ্রিলের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচটি হবে বিকেএসপিতে। মহা গুরুত্বপুর্ন ম্যাচটি লিজেন্ডসরা মিরপুরে আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও তাতে আয়োজকরা সায় দেননি!
সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে আবাহনী। তারপর লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। ৫ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সুপার লিগের পঞ্চম ও শেষ রাউন্ডে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের সঙ্গে লড়বে আবাহনী। যা কীনা শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ। এটি মুল ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলায় আয়োজনের দাবী ছিল অনেকেরই।
কিন্তু খেলা হচ্ছে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে। এর আগে তৃতীয় রাউন্ড শেষে চতুর্থ ও পঞ্চম রাউন্ডের ফিকচারে আবাহনী বনাম লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের খেলা রাখা হয় বিকেএসপি মাঠে।
এই ম্যাচে লিজেন্ডসরা জিতে গেলে আবাহনীর কপাল পুড়বে। আবাহনী জিতলে পেয়ে যাবে লিগ শিরোপা। রূপগঞ্জ জিতলে তখন তাকিয়ে থাকতে হবে শেখ জামাল আর খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ম্যাচের দিকে। সেখানে শেখ জামাল জিতে গেলে আবাহনীর সঙ্গে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তখন পারষ্পরিক মোকাবিলায় জয়-পরাজয়ে লিগ ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সে হিসাবে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জকে প্রথম ও সুপার লিগ দুবার হারানো আর আবাহনীর সঙ্গে সুপার লিগ জেতা শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হবে।
তিন দলের পারষ্পরিক মোকাবিলায় শেখ জামালের আছে চার ম্যাচে সর্বাধিক তিন জয়। আবাহনীর আছে তিন ম্যাচে দুই জয়। স্বচ্ছতার স্বার্থে এ অবস্থায় রূপগঞ্জ-আবাহনী ম্যাচটি মিরপুরে হলেই ভাল হতো। ধানমন্ডির ক্লাবটির প্রতি ক্রিকেট কর্তাদের বাড়তি টানের কথা সবারই জানা।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের আয়োজক ও ব্যবস্থাপক সংগঠন সিসিডিএমের কো-অর্ডিনেটর আমিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ভেন্যু বদলের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২ এপ্রিল রাতেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে ভেন্যু বদল হবে না। খেলা বিকেএসপিতেই করবো।’
ঢাকা থেকে থেকে প্রায় ২৮ মাইল দুরে সাভারের বিকেএসপি। যেখানে সড়ক পথে জ্যামের কারণে যাতায়াতে লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা! যোগাযোগ ব্যাবস্থা বেশ খারাপ। জ্যামের কারণে এখানে একটি ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয়েছে। এমন বিরল ঘটনা নিয়ে লেখালেখিও হয়েছে অনেক।
তার মধ্যে বিকেএসপিতে সাধারণ দর্শক যেতে পারেন না। গণমাধ্যমের উপস্থিতিটাও থাকে কম। এসব বিবেচনায় আম্পায়ারদের পক্ষপাতদুষ্ট খেলা পরিচালনা সহজ হয়। অতীতে এমনটা হয়েছে। লিগ নির্ধারণই ম্যাচে আম্পায়াররা আবাহনীকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারেন-এমন কথাও বলছেন অনেকে। আবেদনের পরও ভেন্যু না পাল্টানোতে গুঞ্জন জোরালো হয়েছে আরো!
Discussion about this post