ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এরমধ্যে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগের রাতে বাবাকে হারান জেমকন খুলনার পেসার শহিদুল ইসলাম। ১৩ ডিসেম্বর সেই দুঃসংবাদ শুনে দ্রুত ফিরে যান বাড়িতে। বাবাকে কবরে সমাহিত করে ফের ফিরে আসেন তিনি। আর কষ্ট নিয়েও জিতলেন ফাইনাল।
সেদিন বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে হোটেল ছেড়ে নিজের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চলে যান শহিদুল। তারপর ফিরে তিনদিন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থেকে করনো নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই খেললেন বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ফাইনালে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফাইনালে খুলনার জয়ে শহিদুল রেখেছেন বড় অবদান। শেষ ওভারে ১৬ রান আটকে দেন শহিদুল। বাবা হারানোর মানসিক ধাক্কা কাটিয়ে দলকে এনে দেন জয়। ম্যাচে শহিদুলের বোলিং ফিগার ৪-০-৩৩-২। ২৫ বছর বয়সী পেসার এখন প্রশংসায় ভাসছেন।
শুক্রবার ফাইনালে ৫ রানে জয়ের পর মাশরাফি বিন মুর্তজা মাতলেন শহিদুল বন্দনায়। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই শহিদুলের বাবার জন্য খেলেছি। পাঁচ দিন আগে মারা গেছেন তিনি। আমাদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছে যে আমরা শহিদুলের জন্য খেলব। বাবা মারা যাওয়ার কারণে সে বাড়িতে গিয়েছিল এবং হোটেলে গত তিন দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। সে পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে ম্যাচ খেলেছে। আমরা শুধু তার জন্য খেলেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে তার জন্য জয় এনে দিতে পেরেছি আমরা।’
ফাইনাল জয়ের পর শহীদুল বলেছিলেন, ‘বাবাকে হারিয়েছি। এই শোক আর ভোলা যাবে না। আমি বিশ্বাস করি বাবা আমাকে খেলতে দেখলেই খুশি হবেন।’
Discussion about this post