২০০৮ সালে প্রথম শোনা গিয়েছিল এমন প্রস্তাবের কথা। দ্বিস্তরের টেস্ট ক্রিকেট আয়োজনের আইডিয়া খোদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কর্তাদের সংখ্যাগরিষ্টের পছন্দ হয়নি।
কিন্তু এবার মনে হচ্ছে সেই দ্বিস্তরের টেস্ট ক্রিকেট চালু হয়ে যাচ্ছে। সেটা হল বড় ক্ষতিটা হবে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মতো দেশের। এ মাসে আইসিসির সভার আলোচ্যসূচিতে জায়গা পাচ্ছে এই প্রস্তাব।
টেস্ট ক্রিকেটে একতরফা লড়াই এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনের কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছে। জানা গেছে আর্থিক ঝুঁকির কারণে এ চ্যাম্পিয়নশিপের টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে কারও তেমন আগ্রহও নেই। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে দ্বিস্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট চালুর পুরনো প্রস্তাবটা নিয়ে ফের আলোচনায় বসছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার কর্তারা।
তাহলে এবার জেনে নিন দ্বিস্তর বিশিষ্ট টেস্ট ক্রিকেট আসলে কি?
এখানে শক্তিশালী দলগুলো থাকবে এক স্তরে। দুর্বল দলগুলো আরেক স্তরে। নিজ স্তরের বাইরের কারোর সঙ্গে এ দলগুলো খেলতে পারবে না।
রেঙ্কিংয়ে যে দল পিছিয়ে থাকবে, অবনমন হয়ে তারা নেমে যাবে দ্বিতীয় স্তরে। আর যারা দ্বিতীয় স্তরে ভালো উন্নতি করবে- তারা উঠে আসবে প্রথম স্তরে।
এ নতুন নিয়মের প্রচলন হলে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলো লাভবান হবে। আর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মতো টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো সঙ্কটে পড়বে।
যদি এ নিয়ম চালু হলে কোনো দেশ তাদের টেস্ট মর্যাদা হারাবে না। একইসঙ্গে আইসিসি থেকে পাওয়া আর্থিক সহায়তাও কমবে না।
Discussion about this post