বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও বিকেন্দ্রীকরণকে সামনে রেখে আজ (রবিবার) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের লক্ষ্য দেশের তৃণমূল ক্রিকেট থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন কাঠামোকে একসূত্রে গেঁথে নেওয়া।
বিসিবির উদ্যোগে আয়োজিত এই কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছেন দেশের ৬৪ জেলার কোচ, কাউন্সিলর, নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি ও ৮ বিভাগের ক্রীড়া কর্মকর্তা। আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিসিবি সরাসরি মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাইছে, যাতে স্থানীয় সাফল্য, চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতাগুলো বোর্ডের কাছে সরাসরি পৌঁছায়।
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় পৌঁছাতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা শুধু কেন্দ্রভিত্তিক নয়, বরং মাঠের বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়েই এগোতে হবে।’
কনফারেন্সের প্রথম দিনেই আঞ্চলিক প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও সফলতার গল্প তুলে ধরবেন। পাশাপাশি থাকবে বিসিবির চার্টার, বিকেন্দ্রীকরণ কৌশল, আঞ্চলিক কাঠামোর ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে উন্নয়নের পথনকশা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশন। এছাড়া নেতৃত্ব বিকাশ, নারী ক্রিকেটের অগ্রগতি এবং শিক্ষামূলক অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
সন্ধ্যায় হবে নেটওয়ার্কিং সেশন ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের চেতনা উদযাপন শীর্ষক একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে দেশের ক্রিকেট ঐতিহ্য ও সাফল্যকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক আয়োজনও থাকছে।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে অবকাঠামো উন্নয়ন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের রূপরেখা এবং সরকারি সহায়তার পরিধি বাড়ানোর বিষয়গুলো। নৈতিকতা ও দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম–বিষয়ক সেশনে সততা, স্বচ্ছতা এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এক ভিডিও বার্তায় সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। আমি মনে করি, এই কনফারেন্স বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও বিস্তৃত এবং শক্তিশালী ভিত্তি দেবে।’










Discussion about this post