দেশে ফিরেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি, যিনি এখন দেশের ক্রিকেটের নতুন অভিভাবক। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় তাঁর চোখে যেন নতুন সময়ের সূচনা। বাংলাদেশের ২–১ ব্যবধানের জয় তার কাছে শুধু ফলাফল নয়, ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
সিরিজ জয়ের পর গণমাধ্যমের সামনে এসে তার কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাস ও দায়বদ্ধতার সুর, ‘আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখেন,’ বলেন বুলবুল, ‘আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এমন উচ্চতায় ইনশাআল্লাহ নিয়ে যাব, যাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে গর্ব করতে পারি।’
দলের পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে তেমন পরিবর্তন না এলেও তিনি দেখছেন ইতিবাচক পরিবর্তনের ভিত্তি। তার বিশ্বাস-ধৈর্য, পরিকল্পনা আর মনোযোগী পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই এই দল বড় কিছু করতে পারে।
তবে বুলবুলের ভাবনায় ক্রিকেট শুধু খেলার গণ্ডিতে আটকে নেই। তার চোখে ক্রিকেট এক সামাজিক শক্তি, যা বদলে দিতে পারে প্রজন্মের চিন্তাভাবনা। ‘বাংলাদেশে আমরা শুধু ক্রিকেটার তৈরি করব না,” বলেন তিনি, “আমরা ক্রিকেটের মাধ্যমে ভালো নাগরিক তৈরি করব।’
এই কথাগুলোই যেন তুলে ধরে নতুন বোর্ড সভাপতির ভিশন-যেখানে সাফল্য শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও।
তবে মাঠের বাইরে নয়, মাঠের ভেতরেও তার দৃষ্টি প্রসারিত নারী ক্রিকেটে। সাম্প্রতিক নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও বুলবুলের আশাবাদ অটুট। বরং তার মতে, মেয়েরাই আগে ইতিহাস লিখবে। ’অবশ্যই ছেলেদের ক্রিকেট ভালো করবে। তবে আমার মনে হয় ছেলেদের আগে মেয়েরাই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে,’ বললেন তিনি, ‘চলমান বিশ্বকাপে ছোট ছোট ভুল না করলে হয়তো পাঁচটা জয় থাকত আমাদের, সেমিফাইনালে খেলা যেত। আমরা ভুল থেকে শিখছি, আপনাদের নিরাশ করব না।’
নারী দলের এই শেখার যাত্রাকেই তিনি ভবিষ্যতের বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। বুলবুলের বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস মিলেই গড়ে উঠবে একটি নতুন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল, যারা একদিন বিশ্ব জয় করবে।










Discussion about this post