শরীরটা ঠিকঠাক ছিল না গত কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু তিনি এভাবে চলে যাবেন কেউ ভাবেন নি! হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান জগমোহন ডালমিয়া। কলকাতায় রোববার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর ভর্তি হয়েছিলেন বিএম বিরলা হার্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। সেখানেই ৭৫ বছর বয়সী এই নামী ক্রিকেট সংগঠক মারা গেলেন।
এইতো এ বছরের মার্চে তৃতীয় মেয়াদে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০ পর্যন্ত। তার হাত ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে প্রবেশের পথ খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বন্ধু বলা হয় তাকে।
এক নজরে ডালমিয়া
জন্ম ৩০ মে, ১৯৪০
মৃত্যু ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
কলকাতার মারোয়াড়ি পরিবারের সন্তান তিনি। খেলেন স্কটিশ চার্চের কলেজ ক্রিকেট টিমে। ক্লাব ক্রিকেটে শুরুটা উইকেটরক্ষক হিসাবে। ক্লাব পর্যায়ে ডাবল সেঞ্চুরি আছে। ষাটের দশকে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়ে খেলা থেকে সরে যান। ক্রিকেট প্রশাসনে হাতেখড়ি এক দশকের মধ্যে।
১৯৭৯ ভারতীয় বোর্ডে যোগদান।
১৯৮৩ বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত।
ইন্দ্রজিৎ সিংহ বিন্দ্রা ও ডালমিয়ার চেষ্টায় ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ বিশ্বকাপ উপমহাদেশ।
১৯৯৬ ম্যালকম গ্রেকে ২৩-১৩ হারান। দুই তৃতীয়াংশ ভোট না পেয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান হতে ব্যর্থ।
১৯৯৭ সর্বসম্মতিক্রমে আইসিসি প্রেসিডেন্ট। ২০০০ টিভি রাইটস বিবাদে আইসিসি ছাড়েন।
২০০১ ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।
২০০৪ বোর্ড নির্বাচনে ডালমিয়ার কাস্টিং ভোটে রণবীর সিংহ মহেন্দ্রের বিতর্কিত জয়।
২০০৫ কলকাতায় বোর্ড নির্বাচনে শরদ পওয়ারের কাছে ডালমিয়া গোষ্ঠীর পরাজয়।
২০০৬ তহবিল তছরুপের অভিযোগে বোর্ড থেকে বহিষ্কৃত হন। সিএবি ছাড়তে হয় তাকে।
২০০৭ কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত। ২০০৮ ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট। ২০১৩ স্পট ফিক্সিংয়ের জেরে এন শ্রীনিবাসন সরে দাঁড়ালে বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের দায়িত্বে।
২ মার্চ, ২০১৫ ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ মারা যান এই ক্রিকেট সংগঠক।
Discussion about this post