ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শনিবার ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ১৩১ রানে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এই মাঠে আগে ব্যাট করা দলের সর্বনিম্ন স্কোর এটি। এরপর মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ড। এমন ব্যর্থতার পর কোন অজুহাত নেই তামিম ইকবালের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রথম ওয়ানডে শেষে মুখোমুখি হলেন ভিডিও বার্তায়। কথা বললেন একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে। পাঠকদের জন্য তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
সাত থেকে সৌম্য সরকার ফের ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে। যদিও ফিরলেন কোন রান না করেই….
আমরা বাংলাদেশে বলেছি- সৌম্যকে ৭ নম্বরে দেখছি। আজকে যে দল খেলেছি, যদি কম্বিনেশন দেখেন- আমাদের ষষ্ঠ বোলার ছিল না। ব্যাক ইনজুরির কারণে রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই বোলিং করতে পারছে না। হয়ত পুরো সিরিজেই পারবে না। আমাদের ষষ্ঠ বোলার ছিল সৌম্য। যে কম্বিনেশনে আজকে খেলেছি ঐ হিসেবে ৩ নম্বরে ব্যাট করার জন্য সৌম্যই যথার্থ ছিল, যদি খেলোয়াড়দের দেখেন যারা যারা আজ খেলেছে। ও ছিল ৩ নম্বরে খেলার মতো। এ কারণেই ও তিনে খেলেছে। নিউজিল্যান্ডে আগে খেলারও অভিজ্ঞতা আছে ওর। দ্বিতীয়ত, পাঁচ বোলার নিয়ে খেলেছি। পাঁচ বোলারের মধ্যে কেউ ভালো না করলে ষষ্ঠ বাছাই হিসেবে সৌম্যই আছে। এটাই ছিল কারণ।
টস হেরে ব্যাটিং করাটাই কি শুরুতে পিছিয়ে দিল?
এখানে সকালে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। গতিও ছিল, সুইংও ছিল। আমাদের আউটগুলো যদি দেখেন, ৩-৪টাই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে আমরা অনেক গর্ব করি। ১৩০ রান করার মত দল আমরা না, যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেন। অবশ্যই আমরা ভালো করিনি। ভুল শট বাছাই করেছি দেখেই ১৩০ রান করেছি। সফট ডিসমিসালগুলোর পুনরাবৃত্তি না করলে… এখানে ভালো কিছু করতে হলে অন্ততপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।
প্রস্তুতির কি কোন ঘাটতি ছিল?
আগের সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম- প্রস্তুতি নিয়ে কোনো দোষারোপ করব না। কোনো অজুহাতও দিব না এ নিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে। ১৪ দিন আমরা কোয়ারেন্টিনে ছিলাম, এর মধ্যে ৭ দিন ছোট ছোট গ্রুপ করে অনুশীলন করতে পেরেছি। কউইন্সটাউনেও অনুশীলন করেছি। তাই মনে হয় না প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল। গত ৪ বছরে আমরা ২-৩ বার নিউজিল্যান্ড এসেছি। আমরা জানি এখানে কী প্রত্যাশিত হতে পারে। কোন ধরনের বল হবে না হবে। তাই প্রস্তুতি ঠিক ছিল না এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।
জয়ের জন্য যা চাই…
ঘুরে দাঁড়াতে হলে আমাদের অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে যাতে বোলাররা জেতানোর মত সুযোগ পায়। এভাবে যদি ১৩০ বা দুইশর মধ্যে অলআউট হয়ে যাই তাহলে বোলারদের জেতানোর মত কিছুই থাকবে না। ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ পাঁচ থেকে একজনের বড় রান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন করতে পারলেই বড় রান করা সম্ভব। যদি এখান থেকে কেউ না করে তাহলে খুবই কঠিন। বিশেষ করে এখানকার পরিবেশে। আমরা দেশে যে কন্ডিশনে খেলি তা থেকে এখানকার কন্ডিশন খুব ভিন্ন।
Discussion about this post