চাকরি ছেড়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো-খবরটা জানা হয়ে গেছে ক্রিকেটপ্রেমী অনেকেরই। গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে ইমেইল করে জানিয়ে দেন, তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ থাকছেন না। চাকরি হারানোর আগেই পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। বুধবার খবরটি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান এক অনুষ্ঠানে ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। তারপরও বিদায় ঘণ্টা বাজল দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের। তিনি আর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ থাকছেন না। যদিও তার পারফরম্যান্স মন্দ ছিল না।
সেই ২০১৯ সালের আগস্টে ডমিঙ্গো বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। তখন ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হারে। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হেরেছে টি-টুয়েন্টি সিরিজ ও টেস্ট। তবে এরপর কিছুটা পথ পায়। অবশ্য সেটা টেস্টে নয়। কারণ তার অধীনে ২২ টেস্ট খেলে ১৭টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র ২টিতে। টি-টুয়েন্টিতেও তেমন সাফল্য পাননি। ৫৯টি টি-টুয়েন্টি খেলে ৩৫টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ২৩টি। একটিতে কোনো ফল আসেনি।
দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের তৃপ্তিও আছে ডমিঙ্গোর। ওয়ানডেতে দারুণ সফল। ৩০টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২১টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এ বছর ওয়ানডে সিরিজ জয়ও এসেছে।
২০১৯ সালের আগস্টে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ পদে দায়িত্ব নেন ডমিঙ্গো। ২০২১ সালে সে চুক্তি বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ অব্দি। বেতনও বেড়ে দাঁড়ায় মাসে ১৮ হাজার ডলার। তার আগেই পদত্যাগ করলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
আগামী বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগেই দলে আসতে পারেন হেড কোচ। এমন কী টি-টুয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে ফিরতে পারেন ফের শ্রীধরন শ্রীরাম।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ডমিঙ্গোকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠে। সেই দাবি বছরখানেক পর বাস্তবায়ন হলো।
Discussion about this post