আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে গতকাল রাতে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সর্বনাশ। এনিয়ে এবার কথা বলেছেন দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই কিংবদন্তি লেগস্পিনার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন-বাংলাদেশের সমস্যা কেবল টেকনিক নয়, বড় অংশটাই মানসিক।
গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তখনও ম্যাচে আশা ছিল। কিন্তু মাত্র ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে অলআউট হয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আফগানিস্তান ৮১ রানের বড় জয় পেয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘স্কিল ও মানসিক দুই জায়গাতেই সমস্যা আমাদের ক্রিকেটারদের। প্রচুর চেষ্টা করছে তারা, কিন্তু মানসিক বাধা কাজ করছে। বোলারকে না খেলে বল খেলতে হবে। ভালো বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক রোটেট করলে বোলার চাপে পড়ে। ডট বল খেলে বড় শট খেলতে গেলেই উইকেট হারাতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে সিঙ্গেল থেকে রান বের করার প্র্যাকটিস করতে হবে। প্র্যাকটিস মেইকস অ্যা ম্যান পারফেক্ট। তাই প্রতিদিন শিখতে হবে, চেষ্টা করতে হবে।”
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পেছনে রশিদ খানের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে রশিদ একাই নিয়েছেন ৮ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেন। রশিদ সম্পর্কে মুশতাক বলেন, ‘রশিদের বিরুদ্ধে তারা (বাংলাদেশি ব্যাটাররা) খেলেছে, কিন্তু রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়। সে বল খুব বেশি ঘুরায় না, কিন্তু খুবই স্মার্ট ও উইকেট টেকিং বোলার। তার বিপক্ষে খেলা সবসময় চ্যালেঞ্জিং।’
মুশতাক আহমেদ বিশ্বাস করেন, ব্যাটিং ইউনিটের উন্নতি ঘটলে বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্স দ্রুত বদলে যেতে পারে, ‘আমাদের আশাবাদী হতে হবে। এশিয়া কাপেও ছেলেরা ঝলক দেখিয়েছে। সাইফ ও উঠতি তারকারা ভালো করছে। ৫০ ওভার ক্রিকেট মিনি টেস্টের মতো-এখানে টেকটিক্যাল ও গাণিতিক চিন্তা দরকার।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের মেধা আছে। এই পারফরম্যান্সে তা বোঝা যাবে না। বোলিং ইউনিট ভালো করছে, পেসার-স্পিনার সবাই। ব্যাটিংয়ে উন্নতি হলে আমরা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারব।’
এর মধ্যেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ, লক্ষ্য একটাই-হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। ম্যাচটি হবে ১৪ অক্টোবর। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এখন বাংলাদেশ ১০ নম্বরে, আর আফগানিস্তান অবস্থান করছে সাত নম্বরে।
Discussion about this post