বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেও জিততে পারল না আফগানিস্তান। ১৫১ রানের লড়াইয়ে এক সময় বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। ১০৯ রানে অপরাজিত ওপেনিং জুটির পর হঠাৎ করেই ধস নামে, আর সেই ধসের মূল কারিগর ছিলেন রশিদ খান। ১৮ রানে ৪ উইকেট তুলে আফগান অধিনায়ক ফেরান দলকে ম্যাচে। তবু শেষ মুহূর্তে নুরুল হাসান ও রিশাদ হোসেনের ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
হার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল রশিদের। গত রাতে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এখনো মনে হচ্ছে আমরা আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। টি–টোয়েন্টিতে ছন্দ হারানোর সুযোগ নেই। একবার ছন্দ হারালে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে প্রথম ১০ ওভারে আমরা সঠিক জায়গায় বল করতে পারিনি। যত বেশি স্টাম্পে বল করা যায়, তত ভালো হয়। বাইরে বল করলে ব্যাটসম্যান সহজে রান নিয়ে নেয়।’
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংও হতাশ করেছে আফগান অধিনায়ককে। মাত্র ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তার দল। ৪০ রানের মধ্যে হারায় চার উইকেট, পুরো ইনিংসে কোনো জুটি গড়তে পারেনি ৫০ রানের। সর্বোচ্চ ৩৩ রানের পার্টনারশিপ আসে গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।
এ নিয়ে রশিদের মন্তব্য, ‘আমরা খুব সহজেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। আশা করি এখান থেকে শিখব এবং উন্নতি করব। কারণ মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। ব্যাটসম্যানদের উচিত নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগ দেওয়া। চাপের সময়ে ভুল শট বাছাই করলে ম্যাচ বের করে আনা সম্ভব হয় না।’
ব্যক্তিগত সাফল্যের দিক থেকে অবশ্য উজ্জ্বল রশিদ। অধিনায়ক হিসেবে এটি তার পঞ্চমবার ইনিংসে চার উইকেট, যা টেস্ট খেলুড়ে দেশের অন্য কোনো অধিনায়কের নেই। তবে এই রেকর্ডেও তৃপ্ত নন তিনি। দলের পরাজয়ই তার কাছে বড় হতাশা।
আজই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে দুই দল। রশিদ জানেন, এই ম্যাচে হেরে গেলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সিরিজ হয়ে যাবে টাইগারদের।










Discussion about this post