দল হারলেও তিনি হারেন নি! মন জয় করে নিয়েছেন সবার। ১২৮ রান এসেছে তার ব্যাটে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফের কথা বলেছে তার ব্যাট। ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর চলছে তামিম ইকবাল বন্দনা। দশ বছর পেরিয়ে আসা ক্যারিয়ারে এখন আরো বেশি পরিনত এই ওপেনার।
বিশেষ করে ২০১৫ সাল থেকে ভিন্ন এক মেজাজে আছেন তিনি। দেশের হয়ে তিন সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন তার। গত বিশ্বকাপের আগে ১৪১ ওয়ানডে খেলে ৩৯৭১ রান করেন তামিম। ছিল ৪টি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফসেঞ্চুরি ছিল তার। বিশ্বকাপের পর এ বাঁহাতি ওপেনার খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। করেন ৫ সেঞ্চুরি আর ১৬০৭ রান।
গত বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরিনত তামিমের দেখা মিলল। কোন তাড়া নেই। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে দেখে-শুনে খেললেন। একেবারে ধীর-স্থীর এক ইনিংস। অথচ আগে শুধুই তাড়াহুড়ো করে খেলেছেন তিনি।
কি করে এমন পাল্টে গেলেন? টাইগার ক্রিকেটার তামিম জানালেন, ‘গত দুই বছরে আমি ব্যাক্তিগত ও দলগতভাবে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছি। আমি বড় স্কোর খেলার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, যা দলের জন্য কাজে লাগে। টেকনিক নয় ব্যাপারটা বেশি ছিল মানসিক ক্ষেত্রে। নিজের খেলা নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলি। ক্রিকেটার-কোচ, সুযোগ পেলে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। শেখার কোনো শেষ নেই। হাশিম আমলার মতো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বললে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আমি শচীনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যেভাবে কথা বলেন, তাতে এমন কিছু আপনি পাবেন যা দিয়ে আপনি আরো ভালো ক্রিকেটার হতে পারবেন।’
ফিটনেসটা বড় ইনিংসে বেশ কাজে দিয়েছে। তামিম জানান, ‘ফিটনেস খুবই বড় ব্যাপার। আমি এদিকে অনেক মনোযোগ দিয়েছি। গত দুই বছরে আমি ১০ কেজি ওজন কমিয়েছি। এটা নিশ্চিতভাবেই অনেক সাহায্য করেছে।’
আগামী ৫ জুন একই মাঠে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
Discussion about this post