আরো একবার বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচিত হলেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই ক্ষমতাধর কর্তা প্রশ্নকারী এক সাংবাদিককে ‘পাগল’ বললেন। বির্তকের শুরুটা মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে। বিপিএলে টানা তিনটি আসরে কিউরেটর গামিনি সিলভা উপহার দিতে পারেননি টি-টোয়েন্টির আদর্শ উইকেট! সর্বনিন্ম আট স্কোরের ৮টিই এই ভেন্যুতে দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাইতো কিউরেটরের সামর্থ নিয়ে উঠল প্রশ্ন। যদিও চমকে যাওয়ার মতো তথ্য-কিউরেটরের পক্ষে সাফাই গাইছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এই সদস্য সচিব মল্লিক।
মিরপুরের উইকেটে কেন রান খরা? এমনটা জানতে চাইলে সাংবাদিককে পাগল আখ্যা দেন তিনি। সম্প্রতি এমন কাণ্ড ঘটান মল্লিক। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘আপনি যদি বুঝতে না চান, পাগলকে তো আমি বুঝাইতে পারব না। আমি উত্তর পরিষ্কার করে দিয়েছি। এই উইকেটে বাংলাদেশ দল ম্যাচ জিতেছে। এখন এখানে একই উইকেটে ২০৫ রানও হয়েছে আবার আরেকটা ম্যাচে ৯৭ রানও হয়েছে।’
যদিও পরই তিনি এ বক্তব্য প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমন কী জিভে কামড় দিতেও নাকি দেখা গেছে। আবাহনী ক্লাবের লোগো লাগিয়ে ক্রমেই বিসিবিতে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন। বোর্ড সভাপতির ব্যক্তিগত সচিব থেকে তিনি এখন বিসিবির ডিরেক্টর পদে। তার এমন আচরণে তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এনিয়ে লেখালেখি হচ্ছে।
দৈনিক কালের কণ্ঠ তাদের এক প্রতিবেদনের একটি অংশে লিখেছে, ”এখন ভিন্ন পেশায় ইসমাইল হায়দার মল্লিক। আর ক্রিকেটে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত ক্ষমতাধর বোর্ড পরিচালক হিসেবে। বিপিএল সদস্যসচিব হিসেবে কার্যত এই আসরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাও তিনি। অতি অল্প বয়সে প্রচণ্ড ক্ষমতার ভারে মল্লিকের হোঁচট খাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। শুনেছি, ‘পাগল’ শব্দটি উচ্চারণের জন্য পরে জিভও কেটেছেন তিনি। আর শুধু তো সাংবাদিকই নয়, বোর্ডের অনেক ‘এক্সেল সাইজে’র কর্তাকেও সময়ে সময়ে ঠাট্টাচ্ছলেই নাকি অপমানসূচক মন্তব্য করেন এই তুর্কি তরুণ।
সর্বোপরি, তীব্র ক্ষমতার আঁচে আশপাশের কিছু মানুষের গায়ে ফোস্কা পড়া বিশ্বের এই প্রান্তে নতুন কিছু নয়ও!”
বাংলাদেশ প্রতিদিনও এনিয়ে প্রকাশ করেছে প্রতিবেদন। তারা লিখেছে- ”গুঞ্জন রয়েছে বিসিবির আর্থিক বিষয়াদি দেখাশোনা করেন মল্লিক।” তার এমন কাণ্ডের খবর উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে।
যদিও মল্লিকের এমন কান্ড এবারই প্রথম নয়। এর আগের বিপিএলেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সেবার পুলিশকে লাঞ্চিত করেছিলেন। তবে বিসিবি’র গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় ওপর মহলের ‘আর্শিবাদে’ তখন পার পেয়েছিলেন। প্রবল ক্ষমতাধর এই মানুষটি এবারো সেভাবে পার পেয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
Discussion about this post